রাজশাহী প্রতিনিধিঃ লালশাক দেখতে যেমন সুন্দর, স্বাদ ও পুষ্টিগুণেও তেমনই সেরা। এতে কার্বোহাইড্রেট,প্রোটিন, ফ্যাট সবই রয়েছে। এছাড়াও লালশাক শরীরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। কিডনির সমস্যা থেকে শুরু করে উন্নত দৃষ্টিশক্তি সবেতেই লাল শাকের ভূমিকা রয়েছে।
কথা হয় রাজশাহীর,তানোর উপজেলার কয়েকজন কৃষকের সাথে, তারা জানান, এই সকল জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষাবাদ করে বর্র্তমানে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে অনেক পরিবার। শুধু তাই নয়, এখানে চাষাবাদের সাথে যুক্ত হয়ে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক অসহায় পরিবার এখানে মুজরিতেও কাজ করে পরিবার চালাচ্ছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন এই লাল শাকের অনেকগুলো জাত রয়েছে। তবে লাল ও সবুজ শাক নামেই পরিচিত। সবচেয়ে বড় বিষয়ে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় এই শাক বিক্রি করা যায়। জমি তৈরি বাদে বছরে ৮ বার এই শাক চাষ করা যায়।
লালশাকে শরীরের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর হবে। ফলে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।শীতের দুপুরে একথালা ধোয়াওঠা গরম ভাতের সঙ্গে লালশাক ভাজা হলে আর কী লাগে! নিয়মিত পাতে রাখুন লালশাক।
লালশাকে থাকা ভিটামিন সি রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। তাই যারা চোখে কম দেখেন বা পরিবারে গ্লুকোমার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই লালশাক খাওয়া শুরু করুন। অল্পদিনেই উপকার পাবেন।
লালশাকে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন কে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার হাড় শক্তপোক্ত হয়ে উঠলে অস্টিওপরোসিস মতো হাড়ের রোগ যে আর ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply