শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

বগুড়ার মহাস্থান প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৩৯৪ ভিউ টাইম

মহাস্থান বগুড়া প্রতিনিধি:প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আমি মো: সেকেন্দার আলীস পিতা মৃত আয়েজ উদ্দিন, গ্রাম-রহবল পূর্বপাড়া, থানা শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া। আমার সালাম ও শুভে”ছা নিবেন। অত্যন্ত অসহায় হয়ে আজ আমি জাতির বিবেক সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছি। ইতোমধ্যে আপনারা জেনে থাকবেন বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলি ইউনিয়নের রহবল পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে বিশিষ্ট দাঁদন ব্যবসায়ী মো: আবুল হোসেন বেশ কিছুদিন ধরিয়া আমাদের পিছনে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি পেশায় একজন শিক্ষক। বর্তমানে মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত আছি। আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতে না পারিয়া সর্বশেষ গত ৩১-১২-২০১৯ ইং তারিখ রাতে বেশকিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন লইয়া আমার বাড়ির পাশে লাগানো বেশকিছু সুপারির গাছ কাটিয়া প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করিয়াছে। এ ব্যাপারে আমি শিবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করিয়াছি। উক্ত সাধারণ ডায়েরী বর্তমানে তদন্তনাধিন রয়েছে। এখবর পাইয়া উক্ত আবুল হোসেন আমি, আমার স্ত্রী, আমার বোনসহ আমার পরিবারের ৬জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট “খ” অঞ্চল আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়া হয়রানি শুরু করিয়াছে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
আপনারা আরও জেনে থাকবেন এই আবুল হোসেন এলাকার শুধু দাঁদন ব্যবসায়ীই নয় সে এলাকার চিহ্নিত মামলাবাজ এবং প্রতারক লোক। যারা তার কথার বাধ্য নয় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকজনদের বাদী করিয়া এবং সে নিজে বাদী হইয়া তাহাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দায়ের করিয়া হয়রানি করিয়া থাকে। উদাহরণ হিসেবে এখানে উল্লেখ্য যে, শিবগঞ্জ থানার জিডি নং ৫৪৭, তারিখ ১২-০৫-২০১৯ ইং এ উল্লেখ আছে রহবল গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে হেলাল উদ্দিনকে ব্যাংকে চাকুরি নিয়ে দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করে। উক্ত টাকা ফেরত চাহিলে উক্ত আবুল হোসেন টাকা ফেরত না দিয়া উল্টো মিথ্যা মামলার হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি লইয়া স্থানীয়ভাবে বহুবার সালিশ বৈঠক করা হলেও আবুল হোসেন উক্ত টাকা অদ্যাবধি ফেরত প্রদান করেনি। আবুল হোসেন এলাকার যে চিহ্নিত দাঁদন ব্যবসায়ী তার প্রমাণ হিসেবে এখানে উল্লেখ করিতেছি যে, রহবল পূর্বপাড়ার আলম আকন্দের স্ত্রী মোছা: সুলতানা বেগম সাংসারিক কাজে কিছু টাকার প্রয়োজন হওয়ায় চড়া সুদে আবুল হোসেন এর নিকট থেকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা নেয়। উক্ত টাকার জামানত সরূপ আবুল হোসেন সুলতানা নামীয় রূপালী ব্যাংক লি: মোকামতলা শাখার একটি সাক্ষরিত ফাঁকা চেক গ্রহন করে। পরবর্তিতে বেশি টাকা আদায়ের জন্য আবুল হোসেন ফাঁকা চেকে ৪,০০০০০/- (চার লক্ষ) টাকা লিখিয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের চাপে আবুল হোসেন মামলাটি প্রত্যাহার করিয়া লয়। রহবল চন্দ্রাহাটা গ্রামের আব্দুল গফুর নামে এক ব্যক্তির নিকট ১৩ শতক জমি ক্রয় করবার উদ্দেশ্যে বায়নানামা তৈরি করিতে গিয়া আব্দুল গফুরের সরলতার সুযোগে ষড়যন্ত্র করিয়া উক্ত আবুল হোসেন সম্পাদন করিয়া লয়। আব্দুল গফুর গ্রামের অতিশয় সাধারণ ও নিরক্ষর লোক হওয়ায় সম্পাদন করিয়া লইয়া উক্ত জমি দখল করিবার চেষ্টা চালায়। এব্যাপারেও থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রহিয়াছে। আবুল হোসেন একজন চরিত্রহীন লোক। বেশ কয়েক বছর আগে বর্তমানে প্রবাসী এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ¯স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করিয়া তাকে উত্তমমাধ্যম দেয় এবং ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। আবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে রহবল হিন্দুপাড়ার জনৈক এক ব্যক্তি সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আবুলের নির্মম অত্যাচারে ওই হিন্দু ব্যক্তি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এছাড়াও আবুলের ভয়ে ওই মৃত্যু হিন্দু ব্যক্তির একমাত্র ছেলে এখন পর্যন্ত নিরুদ্দেশ রহিয়াছে। এছাড়াও উক্ত আবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা ও সাধারণ ডায়েরী রহিয়াছে।

কলমযোদ্ধা সাংবাদিক বন্ধুগণ
আমি অতিশয় সাধারণ একজন কলেজ শিক্ষক। আমার ছোট ভগ্নিপতি আব্দুর রহিম এর বাড়ি আমার বাড়ির পার্শ্বে। আমার ছোট বোন হেলেনার ছেলে হেলাল উদ্দীনকে কোর্টের সেরেস্তাদার পদে চাকুরি নিয়ে দেয়ার নামে আবুল হোসেন ৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করে। চাকুরি না হওয়ায় উক্ত টাকা ফেরত চাহিলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া উক্ত ঘটনা হইতে সরিয়া যাইতে বলে। যেহেতু হেলেনা আমার আপন বোন ও হেলাল আমার আপন ভাগিনা হওয়ায় আমি উক্ত পাওনা টাকা ফেরত দিতে আবুলকে চাপ প্রয়োগ করিলে সে আমার সাথে শত্রুতা শুরু করে। অবশেষে গত ৩১-১২-২০১৯ ইং তারিখ রাতে আমার বাড়ির পাশের প্রায় এক লক্ষ টাকার সুপারি গাছ কাটিয়া ক্ষতি সাধন করে। এ ব্যাপারে আমি থানায় জিডি করবার কারণে সে বাদী হইয়া আমাদের ৬ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়াছে। আমরা সকলে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করিতেছি। সেই সাথে মামলাবাজ ও বিশিষ্ট দাঁদন ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কর্তৃক মিথ্যা মামলা দায়ের এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সাংবাদিকগণের সহযোগিতা কামনা করিতেছি।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888