আজহারুল ইসলাম সাদী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের সর্ব কনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফিফা রেফারি হিসেবে তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান ওরফে(বাবু) বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ফুটবল রেফারিং সু শৃংখলতায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
প্রাসংঙ্গত, এই কিংবদন্তী রেফারি ১৯৭০ সালের ৯ জানুয়ারি সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফিফা রেফারিং হিসাবে প্রথম ম্যাচ পরিচালনা শুরু করেছিলেন ১৯৯৯ সালে। এর কিছুদিন পরই ফিফার এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়ে ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়িং, অলিম্পিক কোয়ালিফায়িং, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, বিভিন্ন রাউন্ড টুর্নামেন্ট সহ শতাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় তিনি কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, হংকং, তাইয়ান, চীন, মঙ্গোলিয়া, ইরান, ইরাক, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাউস, জর্ডান, ওমান, উজবেকিস্তান, কাজাকিস্তান, তাজাকিস্থানসহ এশিয়ার প্রায় সব দেশে ফিফা, এএফসি এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। সে হিসেবে তার গুণমুগ্ধ ভক্তদের সংখ্যা অগণিত।
রেফারিংয়ে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী হিসাবে প্রথম এশিয়ান ফুটবল কনফিডারেশন (এএফসি), বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), সাতক্ষীরা জেলা জন সমিতি-ঢাকা, সোনালী অতীত ক্লাব-ঢাকা, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোটস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেরা রেফারিং এ সম্মাননা পেয়েছেন। এবং এশিয়ান ফুটবল কনফিডারেশন (এএফসি) এর তৎকালীন প্রেসিডেন্টও তাঁকে সম্মাননা প্রদান করেছিলেন।
টানা ১৮ বৎসর যাবৎ তিনি ফিফা রেফারিং হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা কর্তৃক নিজ হাতে এই কৃতি ব্যাক্তিত্ব রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান ওরফে বাবু কে সন্মাননা মেডেল পরিয়ে দেন।
তার এই সন্মাননা মেপেল পাওয়ায় সাতক্ষীরা বাসী তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply