দূর্জয় ইসলাম: ফাল্গুনের প্রথম দিন আগমন ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের।দিনটি বাঙালির প্রানের উৎসবের। একই দিনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধনে এবার দুই উৎসবই পড়েছে একই দিনে !তাতে উৎসবের কমতি ছিল না রাজশাহী বাসীর মাঝে।
বসন্ত ও ভালোবাসার বর্নিল আয়োজনে নারী-পুরুষ, বৃদ্ধা-বনিতা থেকে শুরু করে বাধ যায়নি কেউই। রয়েছে শিশু কিশোররাও। মনের আনন্দের সঙ্গে পোশাকেও জড়িয়ে আছে বসন্তের রঙ, বিশেষ করে মেয়েদের সাজসজ্জায় এ আবহটা অনেক বেশি। বাসন্তী রঙের শাড়ির সঙ্গে কেউ খোঁপায় গুঁজেছেন হলুদ গাঁদা কিংবা লাল গোলাপ। কারও বা কপালে টিপের সঙ্গে মাথায় ছিল নানা রকমের ফুলে জড়ানো টায়রা। ছেলেদের পাঞ্জাবি বা ফতুয়ায় ছিল বসন্ত বরন ও ভালোবাসা দিবসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ রঙের আবহ। যেন ‘হারিয়ে যেতে আজ নেইকো মানা।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজ, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও পদ্মারপাড়সহ উৎসবস্থল এবং বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উৎসবের আমেজ।
এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোর আয়োজনে অনেক স্থানে বিকেলে থেকে সন্ধাসন্ধ্যা অবধি কবিতা , গান, নৃত্য পরিবেশিতসহ নাটক মঞ্চস্থ করা হয়।
বসন্ত বরন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল আইন-শৃংখলা বাহিনী। নগরীর গরুত্বপূর্ন স্থান গুলোতে ছিল চেকপোষ্ট। এ ছাড়াও জেলা জুড়ে ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
স/এসএডি
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply