মোঃ সুজন আলম
(গাজীপুর প্রতিনিধি)
এ যেনো এদেশীয় সমাজব্যাবস্থার একটি ব্যাধি অথবা ধারায় রূপ নিয়েছে। তদ্রুপ দায়িত্বশীলদের নিয়ে সমালোচনাও থাকে বেশী। এই গন্ডি থেকেও বেরুতে পারেননি শ্রীপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ আনিছুর রহমান। গাজীপুর জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এই নেতার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের স্বপ্ন দেখায় শ্রীপুর পৌরসভা। করোনা দূর্যোগে ত্রাণ দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন আলোচনার শীর্ষে। তার চেয়েও বেশী প্রশংসিত হচ্ছেন তার ত্রাণ বিতরন কার্যক্রমের ব্যতিক্রমতায়। এতসব ভিন্নতার মাঝে স্বচক্ষে দেখতে এই নেতা গভীর রাতে এই পৌরসভা ঘোরেন, কখনও একা বা কিছু সঙ্গীসমেত।
তার ঘনিষ্ঠজনদের অভিমত, করোনা দূর্যোগে এই নেতা নিয়ে অনেকটা সমালোচনা-আলোচনা হচ্ছে । স্থানীয় রাজনীতিতে বিষয়টি ইস্যু হিসেবে নিয়ে বেশ কিছুদিন আলোচনায় মাঠ গরম করে তোলে। কিন্তু সেই সমালোচনা যখন ধোপে টেকেনি, তখন ত্র্যান বিতরন নিয়ে দলীয়করনের অভিযোগ তুলে ফাঁপরে ফেলতে চেয়েছিলো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। কিন্তু যখন প্রায় ২৫ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ দিয়ে নিজেকে ভাগ্যবিধাতার দূত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে আভির্ভূত হয়েছেন, তখন নিন্দুকরাও চুপসে গেলেন।
গভীর রাতে এই নেতাকে ত্র্যাণ নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। মিডিয়া কর্মীরা তার এই অবস্থানগত রহস্য ভেদ করতে না পারলেও এখন নিশ্চত হয়েছেন এই নেতা মাঠে আছেন। রাতে ঘুরেফিরে স্বচোখে দেখছেন কোথায় নিহিত রয়েছে ত্রুটি-বিচ্যুতি।
একটি সূত্র জানায়, প্রতিদিনই তার উদ্যোগে চলছে ত্রাণ তৎপরতা। রাতের গভীরতা বৃদ্ধির সাথে পৌরসভার ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তালিকা ধরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এই ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে যেনো কোনো বিশৃঙ্খলতা না ঘটে তা নিশ্চিত করেন মেয়র আনিছুর রহমান। নিজেই মাঠে নামেন ভিন্ন এক অববয়ে। তার উপস্থিতিতে ত্রাণের কীভাবে দেওয়া হয় এবং সঠিক তালিকা অনুযায়ী তা বিতরন করা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতেই বর্তমানে মেয়র আনিছুর রহমান কে মাঠে দেখা যায়। কিন্তু তার বেশভূশ দেখে অনুমান করা সহজতর হয়না, এই সেই যুব বয়সী মেয়র ।
Leave a Reply