কনক দেবঃ- রহবল উচ্চ বিদ্যালয়ের যখন মাধ্যমিকের ছাত্র ছিলেন তখন থেকেই তার মানসিকতা, স্বপ্ন বাসনা, মানুষের প্রতি সহানুভূতি কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় আর মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে চাই টাকা।হতে হবে বড় ব্যবসায়ী । মাধ্যমিক, উচ্চমা ধ্যমিক, সব শেষে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী কমপ্লিট করেন।
চাকরির ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহ নজর ছিল না। সব সময় সে মনে করত যে আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। কিছু একটা করে দিতে পারি। তাদের পাশে যেন দাঁড়াতে পারি। এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। এজন্য চাকরি দিয়ে কিছু হবে না। কিছু একটা করতে হবে।
মাধ্যমিক লেখাপড়া শেষ করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
ব্যবসা গরু ছাগল পালন, পুকুরে মাছ চাষ, ইত্যাদি দিয়ে শুরু হয় তার প্রথম ব্যবসায়িক জীবন। এরপর আর তাকে কখনো পিছনে তাকাতে হয় নাই। কোন একটা সময় ব্যাংকের কাছে ঘুরে বেড়িয়েছেন ব্যাংক লোনের জন্য। আর এখন ব্যাংক তার কাছে এসে কত টাকা চাই আপনার! এ তো গেল ব্যবসার কথা।
টুটুল সাহেবের এলাকায় প্রচলিত আছে। কোন গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষ তার কাছে গেলে এখনও খালি হাতে ফেরে না। সাধ্য অনুযায়ী বঞ্চিত না করলেও কিঞ্চিত করেছেন বলে তার দাবি। লক্ষনীয় বিষয় বগুড়া শিবগঞ্জ রহবলের দেউলিতে তার জন্ম স্থান। আশপাশের এলাকার মানুষকে তার নিজ তহবিল থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে দান করে আসছেন, রাস্তাঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ, ঈদগা মাঠ,অন্য ধর্মের ধর্মীয়দের মহা-শ্বশান সহ সকল ধর্মের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বিভিন্ন দৃশ্যমান কাজ করে আসছেন।
সম্প্রতি গত ঈদের মধ্যে ৩৪৫০ পিস সারি, লুঙ্গি,সহ বিভিন্ন পরিধিয় কাপড়,যার মুল্য(দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা)। আসছে কোরবানি ঈদে দেউলী মানুষের জন্য আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। দেউলীতে বর্তমানে তার নিজস্ব অর্থায়নে পাঁচলাখ টাকা ব্যায়ে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক রাস্তার কাজ চলছে। এর মধ্যে কাজি পাড়া, ভরিয়া রাস্তা,নামাবোয়াল মারি রাস্তা, আরো অনেক রাস্তার কাজ চলমান ও দৃশ্যমান।
সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সে সময় সাজ্জাদ হোসেন টুটুল এই দেউলী উন্নয়নের জন্য প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার চাল, আলু,পেয়াজ,ডাল, মরিজ,লাউ সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী করোনাকালে বিতরন করেছেন বগুড়া শিবগঞ্জ দেউলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে- মওলাপাড়া/গোপালপুর/বোয়ালমারি /খুদু পাড়া উচো বোয়ালিয়া/ উত্তর পাড়া/ ছাওয়ালদহ/হেন্দুপাড়া/পৃর্বপাড়া/চেঙ্গেরআটা/হাজিপাড়া/ ভরিয়া দেউলী প্রায় সব গ্রামে আশানুরূপ সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।
তবে বে-সরকারি একটি মানবাধিকার সংগঠনের দাবিঃ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার বিগত দিনে কর্মকাণ্ড ও এই করোনা মহাদুর্যোগে ব্যক্তি উদ্যোগে সবচাইতে দানশীল হিসেবে তিনি সবার আগে এগিয়ে আছেন। এবং আমাদের সংগঠন থেকে অতি শীঘ্রই সাজ্জাদ হোসেন টুটুল সাহেবের একটা সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এবং তাকে আমাদের সংগঠন থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা হবে। ঐ দেউলী ইউনিয়নে কোনো জন প্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতা ব্যবসায়ি টুটুলের সমতুল্য কিছুই করতে পারেন নাই।
এ ব্যাপারে সাজ্জাদ হোসেন টুটুলে’র সাথে কথা বললে তিনি জানানঃআমার জীবনে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। দেউলী ইউনিয়নের আপামোর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে, শেষ জীবন পর্যন্ত মানুষের সেবা করে শেষ বিদায় নিতে চাই। এ জন্য দেউলী ইউনিয়নে’র সকল স্তরে’র মানুষে’র দোয়া চাই।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply