মিলন হোসেন / ষ্টাফ রিপোর্টার :
ঐতিহ্যবাহী বগুড়ার বেশ নাম করা একটি কলেজ যার নাম সরকারি আযিযুল হক কলেজ। কিন্তু সেই কলেজের পেছন দিয়ে জহুরুল নগর গেইট থেকে পালশার মুখ রাস্তার মাঝে গর্ত করে গাছের গুড়ি বসানো হয়েছে। যার ফলে প্রতিদিন প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন এই এলাকার সকল ধরণের মানুষ ও যানবাহন। কিন্তু রাস্তাটি বগুড়া পৌরসভার তৈরি। যা সর্বসাধারণের জন্য পৌরসভার সকল রাস্তা জনসাধরণের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও জনগণের চলাচলের জন্য বাঁধার সৃষ্টি করা হয়েছে এই রাস্তায়।
এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তাটি বগুড়া পৌরসভার তৈরি। আমরা এ রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়েছি যাতে করে ভারী কোন যানবাহন চলতে না পারে। তবে কার নির্দেশে তিনি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন এই প্রশ্ন টি করলে তিনি সোজা দোষ দেন পুলিশের দিকে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বগুড়া স্টেডিয়াম ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ হরিদাশ মন্ডল জানান, আমরা এমন কোন কর্মকান্ড করার নির্দেশ কাউকে দেইনি। সাধারণ জনগণের দূর্ভোগ হোক এমন কোন কর্মকান্ড আমাদের কাম্য নয়।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তা ভারী যান চলাচলের জন্য উপযুক্ত নয়, যার কারণে কোন ভারী যানবাহন এ রাস্তায় চলাচল করে না। এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য এ রাস্তা ব্যবহার হয়। রাস্তায় গাছের গুড়ি বসানোর কারণে কোন রিক্সা চলাচল করতে পারে না। শুধু তাই নয় মোটর সাইকেল নিয়ে যেতেও অসুবিধা হয় সাধারণ মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি আযিযুল হক কলেজের অধ্যক্ষ বহুদিন যাবত রাস্তায় গাছের গুড়ি বসিয়ে সাধারণ জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়ে আসছেন। ঐ এলাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে পারে না।
এখন প্রশ্ন থেকে যায়, রাস্তা টি কার ? আর কেনই বা এই প্রতিবন্ধকতা। যেখানে সাধারণ মানুষের বিপদে কোনো কাজে আসতেছে না এই রাস্তা টি ?
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply