মিলন হোসেন / স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়া ঠনঠনিয়া আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালিদ বিন মনসুরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ডে শ্যামলী পরিবহনকে ৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয় এবং সেই সাথে ২ জনকে আটক করার চেষ্টা করলে পরিবহন শ্রমিকেরা বাধা সৃষ্টি করে সে সময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং অল্প কিছু সময়ের জন্য ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে অপসারন করা না হলে পরিবহন ধর্মটের ডাক দেয়া হবে এমন টি জানান বগুড়ার বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতি এবং বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। বগুড়া জেলার বাস, মিনিবাস, কোচ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, তারা কখনও বেশি ভাড়া আদায় করে না ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাস, ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত হয় যে ৪ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত নন এসি বাসে জন প্রতি ৫৫০ টাকা ভাড়া নেয়া যাবে। তবে ১২ মে’র পর আবার পূর্বের ভাড়া ৪৫০ টাকা নিতে হবে। এই নিদের্শনা মোতাবেক ১২ মে পর্যন্ত বগুড়া থেকে ঢাকার ভাড়া ৫৫০ টাকা নেয়া হয়। ১২ মে পার না হতেই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ভিত্তিহীন অভিযোগের এনে ঠনঠনিয়া বাস স্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালায়। এসময় অতিরিক্ত ১০০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগে শ্যমলী পরিবহনকে ৬ হাজার এবং শাহ ফতেহ আলী কাউন্টারে গিয়ে বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেন ভ্রাম্যমান আদালত। সে সময় তারা ২ জন মোটর শ্রমিককে আটক করে। শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রায় ১ ঘন্টা পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply