মোঃ সরোয়ার শেরপুর প্রতিনিধিঃশেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা ভারত সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায়, আগাম জাতের শিম চাষে গার্মেন্টস কর্মী থেকে শিম চাষ করে কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া আগাম শিমের বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও দাম চড়া থাকায় কৃষকরাও ভীষণ খুশি হয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক আগাম জাতের শিম চাষ করেছেন। কৃষকদের চাষ করা শিম বাগানের জমির আনাচে কানাচে শিমের লাল-সাদা ফুলে ভরে গেছে। থোকায় থোকায় পরিপুষ্ঠ শিমে ভরে গেছে গাছ। ওই এলাকার কৃষক আব্দুল কাদির নামের এক কৃষক তার ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করা শিম বাগান থেকে শিম তুলছেন। সঙ্গে তার স্ত্রীর শিম গাছের পরিচর্যা করছেন।
কৃষক আব্দুল কাদির বলেন, ‘দীর্ঘদিন গাজিপুরের পোশাক কারখানায় কাজ করতাম। বছর দুয়েক আগে বাড়িতে চলে আসি। এর পর থেকেই বাড়ির পাশের জমিতে শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করি। চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরুতে ২০ শতাংশ জমিতে শীতকালীন আগাম জাতের শিম কেরালা-১ চাষ করি। তিনি আরো বলেন, ‘শিম চাষে শ্রমিক খরচ, সুতা, কীটনাশক, পানি, সারসহ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা তাকে খরচ করতে হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য রাত দিন গাছের যত্ন নিয়েছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাগানজুড়ে শিম গাছে ফুল ও কাঙ্ক্ষিত ফসল এসেছে। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় ১ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছি। তার তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি ধরে ৯ মণ ১০ কেজি শিম বিক্রি করেছেন। এমন অবস্থা চলমান থাকলে আর আবহাওয়া ভালো থাকলে বাগান থেকে আরও লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করি। আমার দেখে এলাকায় এখন অনেকেই শিম চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, এই উপজেলার পাহাড়ি অ লের মাটি খুবই উর্বর। তাই এখানকার কৃষকদের সবজি বাগান গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন ওইসব এলাকায় ব্যাপক সবজি চাষ হচ্ছে এবং কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। বেশ কয়েকজন কৃষক আগাম জাতের শিম চাষ করে ভালো ফলন ও বাজারে চড়া মূল্য পাওয়ায় কৃষকরাও খুশিতে আছেন।
সংযুক্ত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply