মিলন হোসেন, নিজেস্ব প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জরাজীর্ণ অবস্থা কাটিয়ে এবার স্বাস্থ্য সেবায় উন্নতির পথে।
বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলা টি যমুনা নদীর তীরবর্তী এবং বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গনের করাল গ্রাসের জর্জরিত হওয়ায় এই উপজেলার বিশাল পরিমাণ দারিদ্র গোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য স্থান হলো এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগী এবং সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোঃ আশরাফুল ইসলামের পরিচালনায় এবং দিকনির্দেশনায় স্বাস্থ্যসেবার মান এখন অনেকটাই উন্নতির পথে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আগে যে প্রায় অচল অবস্থা ছিল, তা এখন নেই বললেই চলে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ডটস্ কর্নার, স্বাধীনতার দেয়াল, এনসিডি কর্নার, ফার্মেসি, দন্ত বিভাগ, আইএমসিআই ও পুষ্টিকর্নার, ডেঙ্গু হেল্প ডেক্স, এএনসি ও পিএনসি কর্নার, নরমাল ডেলিভারি রুম, শিশু ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং ইসিজি সহ স্বাস্থ্য সেবায় সজ্জিত এখন ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টি ।
এই হাসপাতালটি এখন দশটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ১১৯ টি। কিন্তু ২০২২ সালের এই কয়েক মাসে ২২২ টি নরমাল ডেলিভারি করানো হয়েছে। এখন বতর্মানে ত্রিশটি অত্যাধুনিক বেড বসানো হয়েছে অন্ত বিভাগে।
এই হাসপাতালটির পাশে ধুনট হাসপাতাল জামে মসজিদটি অবস্থিত । এই মসজিদে আগে ১০০ জন মুসলিম নামাজ আদায় করতে পারত। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম এর পরিচালনায় মসজিদটির উন্নয়নের ফলে এখন ৫০০ জন মুসল্লি অনায়াসে নামাজ আদায় করতে পারে । শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অনেক পরিত্যক্ত জায়গা ছিল যা এখন ফুলের বাগানে পরিণত হয়েছে।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন, হাসপাতাল টির অবস্থা আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো এবং সেবার মান ভালো হয়েছে।
এই স্বাস্থ্য সেবা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে আশা করছেন রোগীরা।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply