শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ননবিসিএস) ডা. আব্দুল কাদের (কোড নং ১১০৮৩৩) এর অবহেলার দরুন ও তার নানা অনিয়মের কারণে শেরপুর উপজেলার প্রায় ৫ লাখ লোকের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে । এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও বগুড়ার সিভিল সার্জন বরাবরে গত ২০ মে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তিনি ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর যোগদানের পর থেকেই শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিধিবর্হিভূতভাবে নিজ জেলার নিজ উপজেলায় স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার দায়িত্ব নেবার পর তিনি এলাকার জনগনের সাথে অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে নানা অসদাচরণ করে চলেছেন। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেন। তার অবহেলার কারণে হাসপাতালের এমবিবিএস ডাক্তারগণ বর্হিবিভাগে রোগী দেখেন না। ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্যাকমো কর্মকর্তাদের দিয়ে চলে হাসপাতালের নামমাত্র রোগী সেবা। তিনি নিয়ম অনুযায়ী কর্মস্থলে অবস্থান করেন না। তিনি সপরিবারে বগুড়া শহরের জ্বলেশ্বরীতলা এলাকায় ফ্লাট বাসায় বসবাস করেন। সেখান থেকেই অফিস করেন।
এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ গজ পুর্বে তার ব্যক্তিগত ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে। তিনি হাসপাতালের চেয়ে সেখানেই সময় বেশি দেন। হাসপাতালে আগত রোগীদের সেখানে যাবার পরামর্শ দেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামে বরাদ্দকৃত জীপ গাড়িটি কর্মস্থলে রেখে গ্রামীন স্বাস্থ্যসেবার হালচাল দেখার কাজে ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। তিনি সরকারি গাড়িটি দিন শেষে বগুড়া শহরে তার বাসায় নিয়ে রাখেন। আবার সেই গাড়িতেই বগুড়া থেকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
তিনি জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ ২০১৯ সহ বিভিন্ন জাতীয় ও গুরুত্বপুর্ণ দিবস সঠিকভাবে পালন করেন না। এক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার হয় না এবং সরকারী মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তার অবহেলায় হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও অন্তবিভাগের রোগীরা সঠিকভাবে ঔষধপত্র পান না। সরকারী ঔষধপত্র বাহিরে বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালের অন্তবিভাগে ভর্তি সাধারণ রোগীরা তালিকা অনুযায়ী খাবার পান না। খাবারে উনśত মানের মাছ ও গোশতের পরিবর্তে নিনĄমানের মাছ ও ব্রয়লার মুরগী দেয়া হয়। এছাড়া অন্তবিভাগে রোগী ভর্তি অত্যন্ত কম থাকলেও ভূয়া রোগী দেখিয়ে রোগী প্রতি খাবারের বিল উত্তোলন করতে সহায়তা করেন। হাসপাতালের কোন কোন চিকিৎসক রোগী ও তাদের আতĄীয়স্বজনের সাথে শিষ্ঠাচারের পরিবর্তে দুর্ব্যবহার করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন না। উপজেলার ২৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে না। তার অবহেলার কারণে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের মধ্যে শুধুমাত্র ডেন্টাল সার্জন ছাড়া আর কোন ডাক্তার হাসপাতাল ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন না। ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী ঢাকা থেকে এসে নামমাত্র ডে-নাইট ডিউটি করে আবার ঢাকায় চলে যান।
এ ব্যাপারে শনিবার বেলা ১০ টা ৩ মিনিটে ডা. আব্দুল কাদের এর সাথে ০১৭১১ ৯৩৩৩৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য না দিয়েই মোবাইল ফোন কেটে দেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply