মিলন হোসেন, বার্তা সম্পাদক : গতকাল ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রিয় শিক্ষকদের সম্মাননা জানাতে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সারা দেশের বাছাইকৃত প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯ জন প্রিয় শিক্ষককে “আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা” দেয়া হয়।
মানুষের জীবনে শিক্ষকদের অবদান থাকে এটাই স্বাভাবিক। শিক্ষকরা শুধু যে পড়াশোনা করায় না নয়, শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে কিভাবে এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনাও দিয়ে থাকেন। ২০২২ সালে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা বাছাই শুরু হয়েছিল। গত বছরের অক্টোবরের ৫ তারিখ। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অফলাইন এবং অনলাইনে মোট ১ হাজার ৭৭৯ মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে, প্রাথমিকে ২০১ জন এবং মাধ্যমিকে ১ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষকের নাম জমা পড়ে। জুরিবোর্ড তাদের মধ্য থেকে প্রিয় ৯ জন শিক্ষককে সম্মাননা দেয়ার জন্য বাছাই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে।
তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষকদের সম্মাননা দেয়া হয়। এসব প্রিয় শিক্ষকদের হাতে ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদ সম্মাননা হিসেবে দেয়া হয় এবং ২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
এই ৯ জন প্রিয় শিক্ষক এর মধ্যে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার বেলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফৌজিয়া বিথীও রয়েছেন। যা আমাদের বগুড়া বাসীর জন্য অনেকটা সুনামেরও বটে। এ সম্মাননা পাওয়ার পর ফৌজিয়া বিথীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল “এই সম্মাননা পাওয়ার পর আপনার অনুভূতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি” প্রশ্নের জবাবও তিনি বলেন-
” আমি শিক্ষক। প্রিয় শিক্ষক হওয়ার ভাগ্য সবার হয় না। আমি একজন বীথি আপা হয়ে সবার অন্তরে বেঁচে থাকতে চাই। যে কোনো সম্মাননা মানুষের কাজের গতিকে বাড়িয়ে দেয়, অনুপ্রেরণা যোগায়। আমার পেশায় আমার এই সম্মাননা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন, এর চেয়ে একটি জীবনে আর কোন চাওয়া থাকতে পারে না। আমি উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত”।
তিনি আরো বলেন, আমি মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত এতিম,অসহায়,নির্যাতিত মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই। যতো বাধা বিপত্তি আসুক না কেন আমি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলাম,আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ্।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply