মোঃসরোয়ার ঝিনাইগাতী(শেরপুর)প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ক্ষতবিক্ষত গারো পাহাড়ের চিত্র পাল্টাতে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ । বনের জিরো পয়েন্টে ভারত থেকে নেমে আসা ঝর্ণাটি দিয়ে দিন দিন পানি অতিবাহিত করার ফলে বন্যার কারণে ঝর্ণার দুইপাশে পাহাড় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে । এখানে কোন রকাম পাহাড় কাটা বা পাথর উত্তোলণ করে পাহাড় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন । প্রায় ১৫ বছর আগে পাহাড়ে পাথর উত্তোলন গাছ চুরি সহ অপরাধের স্বর্গরাজ্য ছিল গারো পাহাড়টিতে । বর্তমান রেজ্ঞ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ যোগদান করে অতিত থেকে বাহির হয়ে পাহাড়ের পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে এবং বনের ঐতিহ্য ফিরে আনতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে সুফল বাগানে বেড়ে ওঠছে সৃজিত পরিবেশ বান্ধব বৃক্ষ। আর এতে বদলে যাচ্ছে গারো পাহাড়ের বন বাগানের চিত্র। সৃষ্টি হয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে টেকসই বন ও জীবিকা সুফল প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন বনবিভাগ। পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় বাগানের পরিচর্যায় নিয়োজিত স্থানীয় হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বী করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। গারো পাহাড়ের হালচাটি গ্রামের মনিরুজ্জামান, অমল কুমার সরকার, গান্ধিগঁাও গ্রামের আব্দুলসহ অনেকেই জানান, বর্তমান গারো পাহাড়ে নেই কোন বনের গাছ চুরি, পাথর ও বালি চুরি, এতে করে গারো পাহাড়ের বনা ল এখন সমৃদ্ধ। রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, লোকবল সংকট থাকায় হালচাটি মৌজার সোমেশ্বরী নদীর একটি ঝর্ণা থেকে বনবিভাগের চোখ ফঁাকি দিয়ে এলাকার কিছু লোক নিজেদের কাজের জন্যে কুড়িয়ে কুড়িয়ে পাথর উত্তোলন করেছে। আমি জানার পর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। এখন আর কেউ পাথর বালি নিজের কাজেও ব্যবহার করার জন্যে উত্তোলণ করতে পারে না।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply