এম আব্দুল আকিম স্টাফ রিপোর্টার বগুড়াঃ
বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার কল্পনা ইয়াসমিন (৩৪) নামের তিন সন্তানের জননীকে পরকীয়া প্রেমের টানে পালিয়ে নিয়ে গিয়েছেন নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (৫৩)।
অপরদিকে কল্পনা ইয়াসমিনের স্বামী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কোটে মামলা দায় করেছে যার নং সি/২০২৩ এবং সে তার স্ত্রীকে ফিরে পেতা চাই।
সেই সাথে চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এমন খবরে অত্র এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী একই ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৭, ৮, ৯) নারী আসনের (সদস্যা) মহিলা মেম্বার কল্পনা ইয়াসমিনের সাথে দীর্ঘ দিনের সখ্যতা গড়ে তোলেন। সেই সুবাদে চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত মহিলা মেম্বারের বাড়িতে যাতায়াত করতো। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল বেলা শহিদুল চেয়ারম্যান কল্পনা মেম্বারকে নিয়ে পরকীয়ার টানে উধাও হয়ে যায়।
খোঁজা-খুজির এক পর্যায়ে তিন সন্তানের জননী কল্পনা ইয়াসমিনের স্বামী রফিকুল জানতে পারেন, শহিদুল চেয়ারম্যান তার স্ত্রী মহিলা মেম্বার কল্পনা ইয়াসমিনকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছে।
রফিকুল ইসলাম জানায়, তিনি বগুড়া বিসিএল প্রাইভেট কোম্পানিতে সুপারভাইজার অফিসার পদে চাকরি করেন। গত ৯ মার্চ-২০০১ সালে ২৩ বছর পূর্বে কল্পনা ইয়াসমিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার স্ত্রী কল্পনা ইয়াসমিন নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার ৩ সন্তানের জননী ১ম সন্তান এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র ২য় সন্তান ৮ম শ্রেণি ৩য় সন্তান কেজিতে পড়ে।
রফিকুল জানায়, এ বিষয়ে আমার শহিদুল চেয়ারম্যানের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়, তিনি বলেন, আমি কল্পনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেছি। অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে দিয়েছি এবং এ বিষয় নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন চেয়ারম্যান।
রফিকুল আরও জানায় ৩ সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে লোক লজ্জার ভয়ে এতদিন নিরবে অপেক্ষা করেছি। নিজের ভুল বুঝে স্ত্রী যদি পুনরায় ফিরে আসে। তাহলে আমি ঘড়ে ফিরে নিবো।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply