মিলন হোসেন, বার্তা সম্পাদক : বগুড়ার ধুনট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪৬ নং বেলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি স্থাপিত হবার পর থেকে সুনামের সাথে পাঠদান করে আসছে।
তবে বিদ্যালয়টির আজও পর্যন্ত সীমানা প্রাচী নির্মাণ করা হয়নি। যার কারণে সৃষ্টি হয়েছে নানা জটিলতা।
এই বেলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশ দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় বাড়ির পাশাপাশি বাথরুমের মল ফেলার জন্য গভীর গর্ত করা হয়েছে এবং গোসল খানার পানি নিষ্কাশনের জন্য বিদ্যালয়ের মাটিটি ব্যবহার করছে কিছু অবৈধ দখলদার । এই বিদ্যালয়ের মাঠে ধান শুকনো থেকে শুরু করে খড় শুকনো এবং খড় পালা দিয়েও রাখে অনেকে।
এতে করে স্কুলের কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলার অনেক অসুবিধা হয়। সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বাচ্চাদের নিরাপদে লেখাপড়া করতে পারছে না। স্কুলে টিফিন দেওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে। স্কুলের পাশ দিয়ে রিস্কা,ভ্যান, হুন্ডা চলাচল করে। যে কোনো সময় এইসব যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোমবার (১৫ মে) বিকেলে স্কুলের জায়গায় জাহিদুল নামের একজন ব্যক্তি স্কুলের মাঠের মধ্যে তার বাসার বাথরুমের মল ফেলার জন্য গর্ত করতে থাকে। তখন স্কুলের শিক্ষিকা ফৌজিয়া বিথী সেখানে বাধা সৃষ্টি করে। তার সাথে জাহিদুরের কিছু কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে জাহিদুল সে গর্ত পূরন করতে বাধ্য হয়। এরকম অনেক ঘটনা ঘটেই চলেছে। শুধুমাত্র স্কুলের সীমানা প্রাচী না থাকার কারনে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি যেন এই স্কুলের সীমানা প্রাচীর একটি নির্মাণ করা হয়।
বেলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিল আফরোজা বলেন, আমরা অনেকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি সীমানা প্রাচীরের জন্য। কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করেনি। যার কারনে এই স্কুলের জায়গা টুকু দিনদিন বে-দখল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে দাবি স্কুলটির সীমানা প্রাচীর যেনো অতি তাড়াতাড়ি নির্মাণ করা হয়।
এই বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুলের হেড ম্যাডাম এর কাছে থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তিনি আমাকে লিখিত একটা আবেদন করলে স্কুলের সীমানা প্রাচী বিষয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেটা আমি সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply