মিলন হোসেন, বার্তা সম্পাদক : বগুড়া ধুনট থানা পুলিশের কাছ থেকে চুরি মামলার একজন আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক এসআই এবং দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার কৃত হলেন,
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ শহিদুল ইসলাম,
কনষ্টেবল মোত্তালিব ও শাহাদত হোসেন।
আজ বুধবার (৭ জুন) দুপুরের ধুনট থানা থেকে তাদের প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার মানিক পোটল গ্রামের আব্দুস সোবহানের একটি অটোভ্যান গত সোমবার দুপুরে মরিচতলা বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থেকে চুরি করে দুবৃর্ত্তরা। এ অবস্থায় সংঘবদ্ধ চোরেরা চুরি করে নেওয়া অটোভ্যান টি মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর বাজারে বিক্রয়ের চেষ্টা করে।
সে সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ভান্ডার বাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে মিনু মিয়া (৩৫) ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই চাঁন মিয়া এর ছেলে শাকিল (২৫) ও সোহাগ বাবুকে (৩০) আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় লোকজন। এবং পরে সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তারা পুলিশে খবর দেয়।
সংবাদ পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ মথুরাপুর বাজার এলাকা থেকে আটক করেন তিন জনকে জনতার হাত থেকে থানা হেফাজতে নেয়। জনতার গণধোলাইয়ে অসুস্থ সোহাগ বাবুকে ধুনট থানা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার প্রস্তুতির সময় থানার প্রধান ফটকে এসআই শহিদুল ইসলামের হাত থেকে সোহাগ বাবু পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অটোভ্যানের মালিক বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মিনু মিয়া ও শাকিলকে মঙ্গলবার দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে এসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামীদের কে দুই কনষ্টেবলের হেফাজতে দিয়েছিলাম। তাদের কাছ থেকে সোহাগ বাবু নামে এক আসামী পালিয়ে গেছে।
এদিকে, ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বগুড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই মোঃ শহিদুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্য কনষ্টেবল মোঃ মোত্তালিব এবং মোঃ শাহাদত হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply