সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়া সদর দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন বগুড়া জেলা তাঁতী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন বগুড়ায় বিএএফ শাহীন স্কুলের বাসের ধাক্কায় এক ভ্যান চালক নিহত বাংলাদেশ সাংবাদিক জোট বগুড়া জেলা কমিটির ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেক কর্তন ও আলোচনা সভা ঝিনাইগাতী ক্ষতবিক্ষত গারো পাহাড়ের চিত্র পাল্টাতে কাজ শুরু বন বিভাগের।  বগুড়ায় প্রীতি ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। বগুড়া ধুনটের ফৌজিয়া বিথী পেলেন “আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২২” বগুড়ায় ডিবি’র মাদক বিরোধী অভিযানে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার – ২ বগুড়ায় ফার্মেসীর লাইসেন্স নিয়ে দেখতেন রুগী, অতঃপর জরিমানা, প্রতিষ্ঠান সিলগালা বগুড়ায় রেষ্টুরেন্টে জরিমানাসহ সিলগালা

ওরস্যালাইনের ভুল ব্যবহার হতে পারে মৃত্যুর কারণ!

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ জুন, ২০১৯
  • ১৩৩৬ ভিউ টাইম

ডায়রিয়ার পানি ও লবণশূন্যতা থেকে বাঁচতে খাবার স্যালাইনের বিকল্প নেই। কিন্তু হাসপাতালে অধিকাংশ রোগীদের ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকি সঠিক নিয়মে খাবার স্যালাইন বানানো হচ্ছে না। সঠিক নিয়মে খাবার স্যালাইন না বানালে তা মারাত্মক ফল বয়ে আনতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। ভুলের শিকার হয়ে গেল বছর রাজধানীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয় চল্লিশেরও বেশি শিশু, যাদের বেশির ভাগই মারা যায়। সঠিক নিয়মে ওরস্যালাইন তৈরি ও না খাওয়ানোর কারণে এটা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এ চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা মূলত বমি ও ডায়রিয়ার জন্য ওরস্যালাইন ব্যবহার করি। দেহ থেকে যে পরিমান লবণ বেড়িয়ে যায়, এটি তা রিপ্লেস করে। তবে কখনো কখনো বেশি লবণ বের হয়, আবার কোনো ডায়রিয়ায় কম বের হয়। এ ছাড়া আরেকটি সমস্যা হচ্ছে ওরস্যালাইন প্যাকেটকে ভাগ করে একটু পানির সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে খাওয়ালে কনসেনটেশন বেশি হয়। ইদানিং আমরা দেখছি, কনসেনটেশন বেশি হওয়ায় শিশুদের শরীরে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে দেহে লবণের যে ভারসাম্য আছে, সেটি ধ্বংস হয়ে ব্রেইনে চাপ পড়ে। এর পাশাপাশি অন্য অঙ্গগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে।

একপর্যায়ে এসব শিশুর কিডনি ফেইলর হয়ে যায়। তখন তাদের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) সাপোর্ট নিতে হয়। এ ধরনের সমস্যা নিয়ে গত বছর আমাদের হাসপাতালে চল্লিশেরও বেশি শিশু ভর্তি হয়েছিল। তার মধ্যে বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে। আর এটা হয়েছে সামান্য ভুলের জন্য।’

ডা. হানিফ বলেন, ‘ওরস্যালাইন পানিতে মেশানোর ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে যে নির্দেশিকা রয়েছে, অনেকে তা খেয়াল করেন না। অনেক সময় চিকিৎসকরাও বলে দেন কতটুকু পানি খাওয়াতে হবে। মূলত যতটুকু ফ্লুইড শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, ততটুকুই রিপ্লেস করতে হয়। আর প্যাকেটের গায়ে যেটুকু পানি মেশানোর কথা বলা আছে, ততটুকুই মেশাতে হবে; তার কম-বেশি নয়।

ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে একবার বাথরুম হলেই কয়েক প্যাকেট স্যালাইন খাওয়ানো হয় এটা খুবই ভুল। কেননা ওরস্যালাইন বেশি খাওয়ানোর পর শরীরে লবণের পরিমাণ বেড়ে গেলে এ সমস্যা তৈরি হয়। তাতে কেউ কেউ মারাও যায়। আবার অনেকে বিকলাঙ্গ, আবার কারও ব্রেইন ড্যামেজ হয়ে যায়। ওরস্যালাইনের ব্যবহারের সঠিক মেসেজটি জনগণের কাছে যাওয়া দরকার।’

স্যালাইন বানানোর সঠিক নিয়ম: স্যালাইন বানানোর সঠিক নিয়ম নিয়ে তৈরি বিপাশা হায়াতের সেই অ্যাডের কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। হ্যাঁ পাঠক, স্যালাইন বানাতে হবে প্যাকেটে লেখা নিয়ম দেখে। আধা লিটার পানিতে ১ প্যাকেটের পুরো ওরস্যালাইন মেশাতে হবে, এর চেয়ে বেশি বা কম না।

এছাড়া মনে রাখবেন, কখনই গরম পানিতে স্যালাইন বানাবেন না। পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে তারপর স্যালাইন মেশাবেন। তা না হলে জীবন রক্ষাকারী স্যালাইন হয়ে যেতে পারে মৃত্যুর কারণ। বানানো স্যালাইন ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে, এরপরে খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। ১২ ঘণ্টা পরে স্যালাইন খাওয়ার প্রয়োজন হলে একই পদ্ধতিতে নতুনভাবে বানিয়ে নিতে হবে।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888