মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মাশালডাঙ্গী সেতু (ব্রিজ) সংলগ্ন টাঙ্গন নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব তেমনি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ওই সেতুটি। যেন দেখার কেউ নেই। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বা অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জ পাকা সড়কে মাশালডাঙ্গী ব্রিজের প্রায় ১ শ গজ উত্তরে টাঙ্গন নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। জানা গেছে, ওই এলাকার ফজলু নামে এক ব্যক্তি নদী থেকে বালু তুলে ৩ টাকা ঘন ফুট দরে বিক্রি করছেন।
গতকাল ২ নভেম্বর দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গন নদীর বালুচরে গর্ত করে ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। সেই মেশিন দিয়ে লম্বা পাইপের মাধ্যমে পানির সাথে বালু নিয়ে ফেলা হচ্ছে নদীর পশ্চিম পাড়ে আবাসিক এলাকায়। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে বালু তোলার কাজ। ড্রেজার মালিক ফজলু জানান, নিচু জমি ভরাট, বাসাবাড়ি ও নির্মাণকাজসহ বিভিন্ন কাজের জন্য বালু তুলে বিক্রি করেন তিনি। এখানে প্রতি ঘনফুট বালু ৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন। দাম দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। দূরত্ব কম হলে দামও কম নেওয়া হয়। নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই তুলছেন।
আমিও তুলছি। এখনো তো কেউ কিছু বলেনি। ড্রেজার দিয়ে ব্রিজের কাছ থেকে বালু তোলা প্রসঙ্গে সদ্যবিদায়ী এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজের কাছ থেকে বালু বা মাটি তোলা নিষেধ। তার পরেও দেখতে হবে বালু বা মাটি তুললে ব্রিজের কোনো ক্ষতি হবে কি-না। মাশাল ডাঙ্গী ব্রিজটি অনেক বড়। তাই এর আশপাশ থেকে বালু না তোলাই ভালো। এতে ব্রিজটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এই ক্যাটাগরী আরো খবর...
Leave a Reply