বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার (০৬নভেম্বর) সকালে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় গ্রামবাসী মামলায় অভিযুক্ত শামিম আহম্মেদ (২৫) নামের ওই লম্পটকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি একই ইউনিয়নের ক্ষিকিন্দা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত এক বছর ধরে স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন লম্পট শামিম আহম্মেদ। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এমনকি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণও করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৫নভেম্বর রাতে পাশের গ্রামস্থ ওই নারীর বাড়িতে যান লম্পট শামিম। একইসঙ্গে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণও করে। এসময় বিয়ের কথা বললে সে অস্বীকার করে বসেন। পরে ধর্ষণের শিকার ওই নারী চিৎকার শুরু করলে আশপাশের প্রতিবেশি লোকজন এসে লম্পট শামিমকে হাতেনাতে আটক করেন তারা। পাশাপাশি তাকে গণধোলাইও দেয়া হয়। এরপর থানায় সংবাদ দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উক্ত ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করে গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার ০৭নভেম্বর বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply