দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌরসভায় প্রায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেনসহ রাস্তার সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে গতকাল রবিবার কাউন্সিলররা রাস্তায় শুয়ে ও দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন। জানা গেছে, তালোড়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় রায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে তালোড়া রেলঘুমটি থেকে বগুড়া অভিমুখি ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক দুই ফুট বর্ধিতকরণসহ সংস্কার প্যারাসাইটিং ও ড্রেন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সোনাতলার মেসার্স তা’জীম এন্টারপ্রাইজ’র সত্ত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন প্রকল্পটির ঠিকাদার নির্বাচিত হন। গত ৩০ অক্টোবর প্রকল্পটির কাজ উদ্বোধন করা হয়। আগামী ২০২০ সালের ২৩ মার্চে কাজটি বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া রয়েছে। এদিকে প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়নকালীন কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে এমরান আলী রিপু, সাবু প্রামানিক, তানভীর আহম্মেদ, সাহিনুর ইসলাম, হাশেম প্রামানিক, মারুফ হাসান অভিযোগ করেন নির্বাচিত ঠিকাদারের কাছ থেকে মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল কাজটি নিয়ে সে তার লোক দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ ক্ষেত্রে সে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। প্রকল্পের দু’পাশে দুই ফুট বর্ধিতকরণে ব্যাপক দুর্নীতি করা হচ্ছে। নামমাত্র মাটি সরিয়ে কিছু নি¤œমানের খোয়া ছিটিয়ে বর্ধিতকরণ দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও সড়কটির পুরো সংস্কার কাজেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও করা হয়।
এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ জানান, প্রকল্পটির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি তালোড়া পৌরসভায় কর্মরত থাকলেও তাকে কোনো কিছুই জানানো হয় না। এমনকি প্রকল্পের প্রাক্কলিন ব্যয়সহ সিডিউলেও তার কোন স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়না। পৌরসভার সকল প্রকল্পের কাজ নক্সাকার একেএম রবিউল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ন করছেন। এ কারণেই এ কাজের অনিয়মের কোন দায়ভার তার নেই। নক্সাকার রবিউল ইসলাম জানান, উপ-প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বগুড়া পৌরসভায় বদলি হওয়ায় এবং অতিরিক্ত দায়িত্বে কিছুদিন তালোড়া পৌরসভায় ছিলেন। তিনি তালোড়া পৌরসভায় আসতে না পাড়ায় তার অনুপস্থিতির কারণে তিনি প্রকল্পগুলো তত্ত্বাবধায়ন করছেন। একই সাথে তিনি জানান, প্রায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে তালোড়া রেলঘুমটি থেকে ব্রীজ পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পটি স্থানীয় ফিরোজ মাহমুদ শাহীন নামে একজন কিনে নিয়েছেন। তিনি সিডিউল মোতাবেক কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। এদিকে ফিরোজ মাহমুদ শাহীন জানান, সরকারি কোন কাজ কেনা-বেচার সুযোগ নেই। প্রকল্পটির কাজ মেসার্স তা’জীম এন্টারপ্রাইজের নামেই রয়েছে। পৌরসভা তা বাস্তবায়ন করছে। তিনি শুধু দেখাশোনা করছেন। মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল জানান, কাউন্সিলরদের অভিযোগগুলো সঠিক নয়। প্রকল্পটির কাজ সিডিউল মোতাবেক বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রিভাইস বিল তৈরি করে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণের প্রয়োজন হতে পারে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply