বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

রাজশাহীতে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ, দুর্ভোগে যানবাহন চালকগণ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৪৬০ ভিউ টাইম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের প্রথম দিনেই দুর্ভোগে পড়েছে জনগণ। ধর্মঘটের কারণে আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে রাজশাহীর কোনো পেট্রোল পাম্প থেকে আর জ্বালানি তেল বিক্রি করা হচ্ছে না। ফলে জ্বালানি তেল না পেয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা পড়েছেন বিপাকে। যারা ধর্মঘটের খবরে আগাম জ্বালানি তেল সংগ্রহ করেছিলেন তারাই কেবল মোটরসাইকেল চালাতে পারছেন। তবে দুপুর ১২টার দিকে নগরীর প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত গুল গোফুর তেলের পাম্পে বিশেষ পাহাড়ায় পুলিশদের গাড়ীতে তেল নিতে দেখায়। সেখানেও শত শত মোটর সাএকল মালিকগণ তেল নিতে এসে ফিরে যান। এর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম, বাপ্পি, অনিক ও মাসুদসহ আরো অনেকে বলেন, তারা জানেন না তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে। এখন মোটর সাইকেলের জালানী না পাওয়ায় চরম বিপারেক পড়েছেন আবার অনেককে কর্মচারীদের এক লিটার পেট্রোল কিংবা অকেটন দেওয়া জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু শত অনুরোধেও কাজ হয়নি। পুলিশের গাড়ীতে তেল বিষয়ে জানতে চাইলে তেল নিতে আসা এক পুলিশ বলেন, রাজশাহীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও শিক্ষামন্ত্রী থাকায় তাদের নিরাপত্তা কাজের জন্যই অনুরোধ সাপেক্ষে তারা তেল নিচ্ছেন। তবে নগরীর অন্যান্য তেলের পাম্পে কাউকে জ্বালানী তেল দিতে দেখা যায়নি। প্রতিটি পাম্পের সামনে দড়ি টানিয়ে বেড়িকেট দিয়ে রেখেছেন তারা।

সকালে রাজশাহী মহানগরের শালবাগান এলাকায় থাকা আলম ফিলিং স্টেশনের সেলসম্যান মুরাদ হোসেন ও শুভ পাম্পের সেল্সম্যান মাসুদ জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভোর ৬টা থেকে তারা ধর্মঘটে গেছেন। এ কারণে সকাল থেকেই ফিলিং স্টেশন থেকে আর কাউকে জ্বালানি তেল দেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। এমন অবস্থায় খোলা বাজারেও পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট যানবাহন মালিকরাও পড়েছেন দুর্ভোগে। জ্বালানি তেল না পেয়ে অনেকেই যানবাহন চালাতে পারছেন না। আর এ কারণে সকাল থেকেই মহানগরের বিভিন্ন সড়কে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা কমে এসেছে।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন এবং ট্যাংকলরি ভাড়া বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে ১ ডিসেম্বর থেকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে।
তেল শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট না-কি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়ানো, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল।

এছাড়াও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উল্লেখিত দাবির বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও শুধু মৌখিক আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় পেট্রোল পাম্প পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে উল্লেখ করা হয়। তারা বলেন, এ খাতটি এরইমধ্যে অলাভজনক হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই তারা চূড়ান্ত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, একই কর্মসূচি খুলনা এবং রংপুর বিভাগ থেকেও আলাদাভাবে পালন করা হবে।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888