বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

‘প্রতিবন্ধীরাও সমানাধিকার পাবে- এমন সমাজ গড়তে চাই’

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৪৯০ ভিউ টাইম

ভোরের সকাল ডেস্ক : ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। যে সমাজে প্রতিবন্ধী, অটিজম ও সুস্থ মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। স্বাধীন দেশে সকল মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সেবা সাহায্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করে তিনি এ ভবন উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে আমাদের একটি সংবিধান দিয়েছেন। সে সংবিধানে তিনি প্রতিবন্ধীদের অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। সংবিধানে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা স্পষ্ট লেখা আছে। বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার যে পদক্ষেপ নিয়ে গেছেন তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সকল প্রতিবন্ধীকে সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অটিজম এবং প্রতিবন্ধী হিসেবে আমাদের দেশে কোনো সচেতনতা এর আগে ছিল না। সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অত্যন্ত পরিশ্রম করে দেশ-বিদেশে অটিজম এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সারা পৃথিবীতে তিনি অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন অটিজম এবং প্রতিবন্ধী সম্পর্কে মানুষ যথেষ্ট সচেতন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রতিবন্ধিতা এবং অটিজমে ভুগছেন তাদের ভালোভাবে লেখাপড়া করে যত্ন নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়। তারা যেন মূলস্রোতের সঙ্গে মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে থাকতে পারে। বাবা-মাকেও কষ্ট স্বীকার করতে হবে প্রতিবন্ধিতা দূর করার জন্য। তিনি বলেন, এখানে যেটা সবচাইতে বড় প্রয়োজন সেটা হলো আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা ছোটবেলায় পড়েছি কানাকে কানা বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না। এই শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দিতে হবে। সবাই মানুষ সবাই একসঙ্গে চলবে এটাই হচ্ছে বড় কথা। আমরা চাই দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদেরও গুরুত্ব দিতে হবে।

সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন প্রতিবন্ধী যেন নিজে চলতে পারে তাকে এ ব্যাপারে নানাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পৃথিবীর নানা দেশে এ ধরনের ট্রেনিং চালু আছে। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমাদের ছেলেমেয়েরা এসব ট্রেনিং গ্রহণ করতে পারে। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমাদের ছেলেমেয়েরাও আন্তর্জাতিকভাবে নানান ট্রেনিং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবে। একলা চলার মতো একজন প্রতিবন্ধীকে ট্রেনিং দিলে তাকে আর পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় না। সূত্র:কালের কণ্ঠ।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ। প্রতিবন্ধীদের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফেরসৌসী আক্তার ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের প্রেসিডেন্ট সাইদুল হক।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888