রাজশাহী প্রতিনিধি: দেশের উত্তরের জেলা রাজশাহীতে বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে প্রায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে জন জীবন। আর এই শীতে গরম থাকতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুরনো গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভিড় দেখা গেছে।
ফুটপাতের পুরনো কাপড়ের দোকানে কথা হয় ক্রেতা
দূরজয়ের সঙ্গে। তিনি ভোরের সকালকে জানান, কয়েক দিন ধরে ঠাণ্ডা অনেকটাই বেড়ে গেছে। শীতের নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় ছেলে-মেয়ের জন্য পুরনো কাপড়ের দোকানে এসেছি।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট, তালাইমারি, আলুপট্টি, কুমারপাড়া, সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর, রাজশাহী কলেজ গেট, গণকপাড়া, লক্ষ্মীপুর, রেলগেট, কোর্ট স্টেশন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কের দু’পাশের ফুটপাতে গড়ে উঠেছে গরম কাপড়ের দোকান।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেশে। ডিসেম্বরের শেষে রাজশাহী অঞ্চলে অন্তত একটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।
আগামী জানুয়ারিতে অন্তত তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে দুটিই রূপ নিতে পারে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে।
একই দিন দুপুর ১২টায় রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৭ এবং বিকেল ৩টায় সর্বচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
এদিকে, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই এ জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি। কনকনে শীতের সঙ্গে হিমালয় কাছে হওয়ায় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে।
ফলে চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জেলার ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে তাদের। এদিকে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা।
চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মানুষ।
কে/এম
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply