স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর উত্তরপাড়ায় আব্দুল খালেকের বসতবাড়ি ভাংচুর করে গোটা পরিবারকে পথে বসিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। প্রচন্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে রাত দিন কাটাচ্ছেন তারা। স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিতে এসে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাড়ির কর্তা আব্দুল খালেক। এ ব্যাপারে গাবতলী থানায় ১৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় শফিকুল, খলিল, আবু তাহের, শাহাদাত, আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ২৫/৩০জন সন্ত্রাসী আব্দুল খালেকের বসতবাড়িতে হামলা করে মারপিট করে বাড়ি থেকে সকলকে বের করে দিয়ে ধংসযজ্ঞ চালায়। এ ঘটনায় ওই পরিবারের প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। প্রভাবশালী আসামীদের ভয়ে এখনও ভীতসন্ত্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল খালেকের বাড়ির ৫টি ঘর, ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল খালেক দুই বছর আগে বাড়িটি নির্মাণ করেন। এরপর একই গ্রামের শফিকুল ও খলিল ওই জমির মালিকানা দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। সমাধান না হওয়ায় রবিবার সকালে সন্ত্রাসী কায়দায় আসামীরা জমি দখলে নিতে ওই বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে। ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশেই আসামীরা এ হামলা চালায়। তবে ইউপি চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী জানান, আব্দুল খালেকের বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। অপরাধী যেই হোক তিনি তাদের শাস্তি দাবী করেন। গাবতলী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল গণি জানান, হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply