ক্রাইম প্রতিদিন,মাহমুদুল হাসান,যশোর
যশোর জেলার ভারত সীমান্তঘেষা এলাকাগুলোর চিহিন্ত নারী মাদক ব্যাবসায়ীদের তৎপরতা বৃদ্ধিতে এলাকায় মাদক ব্যাবসা চলছে বহাল তবিয়তে।প্রাইয় মাদকসেবী ও বহনকারী প্রশাসনের নিকট ধরা খেলেও মাদক ব্যাবসার রাঘব-বোয়ালরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় সফলতা আসছে না যুবসমাজ রহ্মায় সরকারের নেওয়া মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিতী।ভারত সীমান্ত দিয়ে বানের স্রোতের মত আসা মদ,গাঁজা,ফেনসিডিল ও ইয়াবার চালান সুকৌশলে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবারহ করতে নারী মাদক ব্যাবসায়ীরা নিজেরাই বহন করছে মাদক দ্রব্য কেউ বা এলাকায় চালাচ্ছে মাদক স্পট।অদ্য২ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার ঝিকরগাছা থানা পুলিশের অভিযানে নিজ বসতবাড়ী হতে ১৬ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করেন জাহানার বেগম(৩৭) নামের এক নারী মাদক ব্যাবসায়ীকে।থানা সুত্র আটককৃত নারী মাদক ব্যাবসায়ী কে মাদক দ্রব্য আইনের ৩৬(১)এর১৪(খ)ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।গত ১১ ডিসেম্বর বুধবার বেনাপোল রেল স্টেশন রোডের পোস্ট অফিসের সামনে হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বপ্না খাতুন(৩৬) ও তহমিনা আক্তার তানিয়া(৩০) নামের দুই নারী মাদক ব্যাবসায়ী কে আটক করে তল্লাশী চালিয়ে তাদের কাছ হতে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছেন।বেনাপোল পোর্ট থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্ট হাজতে সোপার্দ করা হয়েছে।যশোর জেলার বেনাপোল,শার্শা,চৌগাছা,যশোর সদর,কেশবপুর ও নোয়াপাড়া এলাকার প্রশাসনের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত নারী মাদক ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন পন্থায় প্রশাসনের মধ্যে লুকানো কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তা নিয়ে আবারো জোরদার মরনঘাতী মাদকব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাদক ক্রেতা ক্রাইম প্রতিদিন কে নারী ব্যাবসায়ীদের কাছ হতে মাদক প্রাপ্তির উৎস জানাতে বেনাপোলের মাদক সম্রাট খ্যাত পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত সেলিমের স্ত্রী বর্তমান সময়ের মাদক সম্রাগী আছমা খাতুন(৩৬),যশোরের রেলগেট এলাকার ডালিম(৪৫),একই এলাকার হালিমা (৪৭)এর নাম উল্লেখ করে জানান এরা বিশেষ সুবিধায় স্ব স্ব এলাকায় লোক মারফত মাদক সেবীদের চিহ্নিত স্পট গুলোতে নিয়মীত মাদক সরবাহ করে থাকেন।খবরের সত্যতা চাযায়ে থানায় খবর নিলে জানা যায় অভিযুক্তরা সকলেই প্রশাসনের খাতায় চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী ও ৬/৭টি মাদক মামলার আসামী এবং সকলেই আদলত হতে জামিন নিয়ে এলাকায় অবস্থান করছেন। চিহ্নিত এ সমস্ত নারী মাদক ব্যাবসায়ীদের এলাকায় অবাধ বিচারনে প্রশাসনের ভ’মিকা জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠছে যদিও যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন ১লা জানুয়ারী বুধবার নিজ কার্য্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ যশোর জেলা কে মাদক মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন।নবাগত পুলিশ সুপারের এ ঘোষণা কে যশোরের সুশীল সমাজ সাধুবাধ জানিয়েছেন ও সাথে সাথে দ্রুত সমাজের চিহিন্ত মাদক ব্যাবসায়ীদের চলমান কর্মকান্ড পর্যবেহ্মন পূর্বক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply