ইমরানুল হক, নামুজা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নামুজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে ইটভাটার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, সদর উপজেলার ১১ নং নামুজা ইউনিয়নের চকরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে শুধুই একটি রাস্তার পরেই স্থাপিত হয়েছে ‘মেসার্স লাভা ব্রিকস’ নামে এই ইটভাটা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানান, ইট ভাটায় রাতের আধাঁরে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এসব কাঠ-কয়লা পোড়ানোর ফলে ইট ভাটা হতে নির্গত হচ্ছে ধোঁয়া যার কারনে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পার্শ্বে অবস্থিত চকরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমলমতি শিশুদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশ সাধনের সম্ভাবনা। এছাড়া প্রতি নিয়ত ক্ষতি হচ্ছে আশে-পাশের জমিতে লাগানো কৃষকের আলু, সরিষা, বোরো’র বীজতলা সহ নানা ধরণের রবি শস্য ও নিকটস্থত গ্রাম গুলোর ফলজ গাছ। অপরদিকে, ইতি পূর্বে বগুড়া-জয়পুরহাট এর নামুজা মেইন পাকা সড়কের সাথে স্তুপ করে রাখা মাটি রাস্তায় গড়িয়ে আসার ফলে প্রতি নিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। আর এই দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যুসহ আহত হয়েছে অনেকে। এ ব্যাপারে চকরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকলেছার রহমান জানান, একটু বাতাস হলেই ইট ভাটার ধোঁয়া ও ধুলা বালি এসে এবং ইট বালুর ট্রাক স্কুলের সামনে পার্কিং করার কারণে শিক্ষার্থীদের সমস্যার সৃষ্টি হয়। নামুজা ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম রাসেল মামুন জানান, চারিদিকে গ্রাম ও পার্শ্বে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা। তিনি আরোও জানান, আশ পাশে ফসলি জমি রয়েছে যা ইটভাটার নিকটতম হওয়ায় পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াটাই স্বাভাবিক। গত ২৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) মেসার্স লাভা ব্রিকস ইট ভাটার ম্যানেজার সুজা জানান, সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরেও আমরা মৌখিক ভাবে চলতি এক বছরে ইটভাটা চালানোর জন্য সময় নিয়েছি।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুর রহমান জানান, বিষয়টি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবমিলিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল বিষয়টি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply