মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,
আফজালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ঠাকুরগাঁও জেলায় পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে আহত এক কৃষি শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার নাম আফজাল হোসেন (৪৫)। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছ্যাঁকা ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার তিনদিন পর ২ ফেব্রুয়ারি বোরবার রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতিত আফজাল হোসেন বলেন, অসুস্থতার জন্য কিছুদিন যাবত কাজ করতে পারি না। পরে স্ত্রী-সন্তানরা জমি ব্রিক্রি করে টাকা দেওয়ার চাপ দিতে থাকে আমাকে, কিন্তু আমি রাজি হইনি। এ কারণে শ্যালক আরমান আলীর নির্দেশ তার ছেলে আবু বক্কর, আমার স্ত্রী আনোয়ারা, ছেলে আলমগীর ও মেয়ে আল্পনা কিছুদিন যাবত আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। তিনি বলেন, তারা গত ৩১ তারিখ রাতে আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আর কিছু বলতে পারি না। ২ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। বিকেলে অনেক কষ্টে বাজারে ওষুধ কিনতে দিলে একজন প্রতিবেশি শরীরের দাগগুলো দেখে সবাইকে জানায়। পরে তারা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি আর পরিবারে ফিরে যেতে চাই না। নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রতিবেশি ইমান আলী বলেন, আফজালের সঙ্গে অমানবিক কাজ করা হয়েছে। ঘটনার তিনদিন হয়ে গেলেও তার কোন চিকিৎসা হয়নি। আফজালকে এমন ভয় দেখানো হয়েছে, সে আশপাশেরও কাউকেও ঘটনা জানানোর সাহস পায়নি। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এদিকে আফজালকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তার ছেলে আলমগীর পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত আফজালের শ্যালক আরমান, স্ত্রী আনোয়ারা ও মেয়ে আল্পনা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মনজুর মোর্শেদ বলেন, আফজালের বুকে ও পিঠের বিভিন্ন স্থান আগুনে ঝলসে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের কারণে রক্ত জমাট হয়ে গেছে। তার চিকিৎসা চলছে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply