মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১০ মার্চ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জামালপুর ইউনিয়নের শিবগঞ্জ চিকনডোবা গ্রামের একটি আম বাগান থেকে লাশ উদ্ধারের কথা জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম। নিহত শামসুল হক (৩৫) শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রোড কাজীবস্তি এলাকার প্রয়াত আব্দুল খালেকের ছেলে। ওসি তানভিরুল সাংবাদিককে বলেন, “রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের হটলাইন ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে জানতে পারি, শিবগঞ্জ চিকনডোবা গ্রামে মারামারি হচ্ছে। খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। এরপর স্থানীয় ইয়াসিন আলীর আম বাগান থেকে শামসুল হকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।”কীভাবে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।ওসি বলেন, নিহত শামসুল হকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে; এছাড়াও তার মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে অসংখ্যবার কুপিয়ে জখম করা হয়েছে; এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ওসি তানভিরুল বলেন, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার জামালপুর ইউনিয়নের মধ্যপারপুগী গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ জিলানির ছেলে রাজু ইসলামকে (১৮) কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদ জিলানি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলা শামসুল হক (নিহত) এক নম্বর আসামি ছিলেন। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিককে বলেন, “শামসুল হক এলাকায় কোপা শামসুল নামেই বেশ পরিচিতি ছিল সে। কারণ সে বিভিন্ন সময়ে কারণে অকারণে মানুষকে জখম করত। “এছাড়াও শামসুল হক এলাকায় নানা অপরাধমুলক কাজ পরিচালনা করত। স্থানীয় ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামসুলকে এ গ্রামে থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে শামসুল হক তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনর উপর নানা রকম অত্যাচার করে আসছিল।” শামসুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি তানভিরুল।
Leave a Reply