নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর উদ্বেগের মধ্যে বগুড়ার মহাস্থান হাটে একেবারে কম দামে সবজি বিক্রি করছে কৃষকরা।বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মহাস্থান গড়ের ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটের অবস্থান। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি সবজিবাজার এটি। প্রতিদিনই সেখানে সবজির বাজার বসে। এখান থেকে পাইকারার সবজি কিনে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অনান্য জেলায় বিক্রি করেন।রবিবার সরেজমিনে মহাস্থান হাটে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি ক্রেতা খুবই কম। কৃষকরা মাঠ থেকে এনেছেন নানা ধরনের সবজি। এখানে পাইকারি দরে বেগুন প্রতি কেজি ২ টাকা, মুলা ২ টাকা, কুমড়া ৭ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০ টাকা, শসা ৪ টাকা, টমেট ৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
শিবগঞ্জের রায়নাগরের সবজি কৃষক আজমল হোসেন বলেন, মুলা, “কাঁচা মরিচ, বেগুন, শসা জমিতেই নষ্ট হবে। তাই হাটে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু পাইকার কম থাকায় মুলা ২ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ১০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করেছি। কোনো হরতালেও এত কমদামে বিক্রি করিনি। মোকামতলার গিয়াস উদ্দিন বলেন, “শসা ৪ টাকা, টমেট ৭ টাকা কেজিদরে বিক্রি করছি। লাভ তো দূরের কথা ভ্যান ভাড়াও হবে না। কী করব, বিক্রি না করলে ফেলে দিতে হবে। তাই কম দামেই বিক্রি করছি।”
মহাস্থান হাটের আড়ৎদার মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা প্রতিবেদক নুরনবী রহমান কে বলেন, মহাস্থান কাঁচা বাজারকে ঘিড়ে স্থানীয় এবং অনান্য জেলার প্রায় ১২শ পাইকার কাঁচা সবজি কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠায়।
“আজ রবিবার হাটে বিক্রেতা বেশি থাকলেও পাইকার ছিল অনেক কম। তাই পানির দামেই কৃষকরা বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply