বুধবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আগামী শুক্রবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল ২০২০ সাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইস’লামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইস’লামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।
বৈঠক শেষে মহাপরিচালক জাগো নিউজকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।বুধবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আগামী শুক্রবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইস’লামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইস’লামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ। বৈঠক শেষে মহাপরিচালক নিউজকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। সেই হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল (বুধবার) দিবাগত রাতই শবে বরাতের রাত। শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবার এ ছুটি পড়েছে ১০ এপ্রিল (শুক্রবার), অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেই।
শাবান মাস শেষেই মু’সলমানদের সবচেয়ে বড় ধ’র্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।
‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মু’সলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন।
শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। সেই হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল (বুধবার) দিবাগত রাতই শবে বরাতের রাত। শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবার এ ছুটি পড়েছে ১০ এপ্রিল (শুক্রবার), অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেই।
শাবান মাস শেষেই মু’সলমানদের সবচেয়ে বড় ধ’র্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।
‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মু’সলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। শবে বরাতের রাতে যে সকল লোকের আমল কবুল হয় না বলে বর্ণিত হয়েছে, এমন লোকের সংখ্যা প্রায় এগার
এক. মুশরিক অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে যে কোন প্রকারের শিরকে লি’প্ত হয়
দুই. যে ব্যক্তি কারো প্রতি বি’দ্বেষ পোষণকারী
তিন. আত্মহ ত্যার ইচ্ছা পোষণকারী
চার. যে ব্যক্তি অ’পরের ভাল দেখতে পারে না অর্থাৎ পরশ্রীকাতরতায় লিপ্ত
পাঁচ. যে ব্যক্তি আত্মীয়তার স ম্পর্ক ছি’ন্ন করে, চাই তা নিকটতম আত্মীয় হোক বা দূরবর্তী আত্মীয় হোক
ছয়. যে ব্যক্তি ব্য’ভিচারে লি’প্ত হয়
সাত. যে ব্যক্তি ম দ্যপানকারী অর্থাৎ নে শাকারী
আট. যে ব্যক্তি গণকগিরি করে বা গণকের কাছে গমণ করে
নয়. যে ব্যক্তি জু য়া খেলে
দশ. যে ব্যক্তি মাতা-পিতার অবা’ধ্য হয়
এগার. টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ ইত্যাদি ব্যক্তির দুআও তওবা না করা পর্যন্ত কবুল হয় না। তাই শবে বরাতের পূর্ণ ফযীলত ও শবে বরাতের রাতে দুআ কবুল হওয়ার জন্য উল্লেখিত ক’বীরা গু নাহ সমূহ থেকে খাঁটি দিলে তওবা করা উচিত। অন্যথায় সারারাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করেও কোন লাভের আশা করা যায় না।
শবে বরাতের আমল বা করনীয় স ম্পর্কে যা জানা যায় তা হল
এক. এই রাতে ক বর যিয়ারত করা যেতে পারে, তবে তা অবশ্যই দলবদ্ধ ও আড়ম্বরপূর্ণ না হয়ে একাকী’ হওয়া উচিত
দুই. শবে বরাতের রাত্রিতে নামায-দুআ, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, দরূদ শরীফ ইত্যাদিতে লি’প্ত থাকা ভাল
তিন. এই রাত্রিতে দীর্ঘ সিজদায় রত হওয়া উচিত
চার. শবে বরাতের পরের দিন অর্থাৎ ১৫ই শাবান রোযা রাখা।
তাছাড়া প্রত্যেক আরবী মাসের তের, চৌদ্দ ও পনেরতম তারিখে রোযা রাখা অধিক ম’র্যাদাপূর্ণ একটি আমল। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে ‘রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, প্রত্যেক মাসে তিনটি রোযা এক বৎসরের রোযার ন্যায়। আর আইয়্যামুল বীয (পূর্ণ চন্দ্রময় রজনীর দিবসসমূহ) হল, তের, চৌদ্দ ও পনেরতম দিবস।’ {নাসাঈ শরীফ, হাদীস-২৩৭৭}
তবে, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে বেশ কিছু কু’সংস্কার ও বিদআত চালু আছে। তম্মধ্যে অন্যতম বিদআত হল হালুয়া-রুটি তৈরী করার এক মহা ধুমধাম। যা নিঃস ন্দেহে একটি কু’সং’স্কার ও বিদআত। তাই, এটি বর্জন করা উচিৎ। সেই সাথে বিভিন্ন ক বরস্থানে বা ম’সজিদে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করাও অ’প’চয়ের গুনাহসহ মস্তবড় একটি বিদআত।
সারারাত্রি জাগরণ করে ইবাদত-বন্দেগীর চাইতে শুধু ম’সজিদে-ম’সজিদে ঘোরাঘুরি করা আর রাস্তায়-রাস্তায় গল্প-গু জবে ম’শগুল থাকা এই রাত্রির ম’র্যাদা পরিপন্থি কাজ। বরং, এই রাত্রিতে ম’সজিদে সমবেত না হয়ে বাড়িতে একাকী’ ইবাদত করাই উত্তম। ম’সজিদে তো দৈনিক পাঁচবার নামাযের ইবাদত হচ্ছেই। নিজেদের বাসা-বাড়িকেও ইবাদতের গৃহ হিসেবে গড়ে তোলা উচিত।
তাছাড়াও সকল নফল ইবাদত ম’সজিদের চাইতে বাড়িতে পালন করাই উত্তম। সারারাত নফল ইবাদত পালন করে যদি ফজরের নামায কাযা হয়ে যায়, এর চাইতে দূর্ভা’গ্য আর কি হতে পারে? যদি কারো জীবনে কাযা নামায থেকে থাকে, তাহলে নফল নামায পড়ার চাইতে বিগত জীবনের কাযা নামায আদায় করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ এবং জরুরী। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তার কুরআন ও হাদীস সম্মত পন্থায় ইবাদত পালনের তাওফীক দিন। আমীন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply