আব্দুল আলিম খাঁন,
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানাধীন সাতকুশী গ্রামের মৃত আব্দুস সোবাহান আকন্দের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক আকন্দের একটি বাঁশঝাড়ে আগুন দিয়েছে তিনজন জুয়ারী।জুয়ারী তিনজন হলো একই গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে সাইফুল (৩৮) চাঁন মিয়ার ছেলে সুমন আলী (২৪), শুকুর আলীর ছেলে মোবারক হোসেন (২৩)।ঘটনায় জানা যায় ঐ তিনজন বেশকিছু দিন যাবৎ নিয়মিতই ঐ বাঁশঝাড়ে বসে মোবাইল ফোনে টাকা দিয়ে লুডু খেলে তাছাড়া তাসের জুঁয়াসহ বিভিন্ন ধরণের জুয়া খেলে। এতে গ্রামের লোকজনসহ বাঁশঝাড়ের মালিক সোবাহান আকন্দ তাদের একাধিক বার নিষেধ করে।
জানা যায় ঘটনার দিন ২০২০ সালের ৩০শে মার্চ বিকাল ৪টার সময় ঐ তিন জুয়ারী পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিত ভাবে বাঁশঝাড়ে আগুন দেয় যার ফলে বাঁশঝাড় পড়ে ২লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় বলে ধারনা করেছেন বাঁশঝাড় মালিক।
এঘটনায় বাঁশঝাড় মালিক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ তিন জুয়ারী বিরুদ্ধে সলঙ্গায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার জিডি নং ১৫৪৮ তারিখ ৩১.০৩.২০২০ ইং।এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী এধরণের জুয়ারীরা এলাকার যুবক ছেলেদের অন্ধকার জগতে নিয়ে যাবে। এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদক, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের খারাপ কাজে লিপ্ত হবে যুবকেরা। তাই এসব জুয়ারীদের আইনে এনে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ জানান, এই তিন জুয়ারী বেশকিছুদিন যাবৎ আমার বাঁশঝাড়ে এসে বিভিন্ন ধরণের জুয়া খেলে। এলাকার যুবকেরা তাদের অনুসরন করে তাড়াও এই কাজে জড়িয়ে পরবে বিধায় আমি তাদের নিষেধ করি এখানে এই অপকর্ম না করতে এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার এই বাঁশঝাড়ে আগুন দিয়ে আমার এতবড় ক্ষতি করেছে। এ কথা তাদের বাড়িতে বলতে গেলে আমাকে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয় পরে আমি বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আঃ রহমান, আঃ মান্নান, ইব্রাহিম হোসেন, ছাইফুল ইসলাম ও আব্দুল আলীম জানান, আমরা রাস্তা থেকে বাঁশঝাড়ে আগুন দেখে দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি ঐ তিন জুয়ারী আগুন দিয়ে সেখানেই দাড়িয়ে আছে। আমরা তাদের ধরব কিন্তু বাঁশে আগুন লেগে তা ক্রমশই প্রকপ আকার ধারণ করছে বিধায় তাদের না ধরে আমরা আগুন নিভাতে ব্যস্ত হয়ে পরি আর সেই সুযোগেই তারা পালিয়ে যায়। এই জুয়ারীরা প্রায় নিয়মিতই এখানে বসে বিভিন্ন ধরণের জুয়া খেলে। তাদের দেখে লোভে পরে এলাকার যুবকেরাও এই অপকর্মে লিপ্ত হবে তাই আমরা এই তিন জুয়ারীর উপযুক্ত শাস্তী চাই।
অভিযুক্ত তিন জুয়ারীর বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি তবে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গেলে তার বাবা গোলাম রব্বানী ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলেকে সেদিন আমি বাঁশঝাড়ের পাশে আমার জমিতে বসিয়ে রেখে আমি অন্য যায়গায় কিটনাশক ছিটাতে গিয়েছিলাম। আমার ছেলে এ কাজ করতেই পারে না।
অভিযোগের বিষয় জানতে সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জেড. জেড. তাজুল হুদা জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পুর্বক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মোঃ আব্দুল আলিম খাঁন
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
তারিখ:০২/০৩/২০২০
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply