গাংনী হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ০২ (দুই) জন, মহিলা ওয়ার্ডে ০৩ (তিন) জন রোগী থাকলেও সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাত্রের খাবার তালিকায় ভূঁয়া নাম। রেজিষ্টারে খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রণকারী একজন সেবিকা জানান,পুরুষ ওয়ার্ডে ৪ জন , মহিলা ওয়ার্ডে ৭ অর্থ্যাৎ আজ রবিবার ১১ জনের খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, প্রতিদিনই ৪৫ থেকে ৫০,বা ৫৫ জনের খাদ্য চাহিদা থাকে।
তবে বেডে রোগীর সংখ্যা কম আবার খাদ্য তালিকাই বেশী কেন এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান সেবিকারা। হাসপাতালে সাইন বোর্ড সর্বস্ব ভেষজ বাগান লেখা থাকলেও এখন ছাগলের চারণ ভূমি হয়ে গেছে। বাগানে কোন ভেষজ গাছ দেখা যায়নি। ভেষজ বাগান পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষন করতে দেয়া টাকা পকেট করা হচ্ছে
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম গাংনী স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের পর থেকে কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে অসদাচরণ করায় ইতোমধ্যে ০৩ (তিন) জন ডাক্তার আমিরুলজ্জামান ওরফে সামসুল আরেফীন , শাকিলা আফরোজ ও বুদাদীপ্ত দাশ হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ তুললে মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখান বলে জানা গেছে।
গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, গাংনী হাসপাতালে কোন সেবা দেয়া হয় না।রোগীদের সাথে অসদাচরণ করে থাকে এখানে নেতাদের ম্যানেজ করে ডাক্তাররা গড়িমসি করে থাকে।
গাংনী হাসপাতাল বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, হাসপাতালে সাধারন রোগীদের সেবা দেয়া হয় না। ব্লাড প্রেসার মাপতে চাইলে বলেন হাসপাতালের মেশিনটি নষ্ট। আপনারা অন্য কোথাও মেপে নেবেন বলে হয়রানি করেন।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম কে একাধীকবার ফোন করেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এসব অনিয়ম , অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি বন্ধ করে গাংনীর মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দেবেন এমনটিই প্রত্যাশা জনসাধারণের। এব্যাপারে সিভিল সার্জন মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছ ভুক্তভোগী মহল।
Leave a Reply