এইভাবে গৃহবন্দী থেকে নববর্ষ পালন করতে হবে কেউ হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি কখনো। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একরকম গৃহবন্দী হয়ে অনাহারেই নববর্ষ পালন করছেন সমাজের নিম্ন এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। আজকেও অনাহারে কাটবে অনেক মানুষের দিন।
এটি মেনে নিতে পারেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আত্মীয়-স্বজন এবং মেসডা নামক সংগঠনের সহযোগিতায় অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছিয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন সাব্বির। আজকে পহেলা বৈশাখের দিনেও প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, সাব্বির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সাব্বিরের বাসা মেহেরপুর জেলার সদরে। পিতা আনছারুল হক এবং মাতা ইরা উম্মে সালমার বড় সন্তান সাব্বির আহমেদ। দেশে করোনা শনাক্তের পরে থেকে বিভিন্ন মহলের সহযোগিতায় টানা ২৩ দিনের মতো কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন সাব্বির।
সাব্বিরের নেওয়া উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে মাস্ক বিতরণ, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, জীবাণুনাশক ব্লিচিং পাউডার স্প্রে, মানবতার দেয়ালের আদলে খাদ্য সামগ্রীর ফ্রি দোকান, বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী , সবজি যাবে আপনার বাড়ি সহ আরো অনেক কার্যক্রম। মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন৷
প্রথমদিকে টিউশনির টাকা দিয়েই কাজ শুরু করলেও এরপরে মেসডা সংগঠন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সাব্বিরের এই কার্যক্রমে। প্রথমে একা একা কাজ শুরু করলেও এখন অনেক স্বেচ্ছাসেবক কাজে সহযোগিতা করছেন সাব্বিরকে। যেকেউ চাইলে এমন মহৎ উদ্যোগে সহযোগিতা করতে পারবে ০১৯৮৭৪৭৬২৪১ (বিকাশ) এই নম্বরে।
সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘নববর্ষের শুভেচ্ছা আর ছবি ফরোয়ার্ডেই বেশিরভাগ মানুষ ব্যতিব্যস্ত। অথচ মানুষকে সেবার মাধ্যমে এই নববর্ষটাকেই সবথেকে উত্তম নববর্ষ হিসেবে উদযাপন করতে পারতাম আমরা। দেশের এইরকম ক্রান্তিকালেও কিছু মানুষের উদাসীন আচরণ এবং দৃষ্টিভঙ্গি মোটেও কাম্য নয়। করোনা নামক যুদ্ধে সকলকে সহযোগিতার মাধ্যমে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।’
Leave a Reply