বগুড়ার সদরের লাহিড়ীপাড়া ১০নং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্ড বিতরন সংক্রান্ত অনিয়ম বিষয় উল্লেখ করে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বেশ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় যেভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ইউপি সদস্য আসাদুর রহমান মকবুল শুক্রবার দুপুর ১টায় একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জানান, আসলে প্রকৃত ঘটনা হলো, আমার ওয়ার্ডে নিয়োগ প্রাপ্ত চৌকস ডিলার চাউল বিতরণ সময় ভোক্তা সরবরাহকৃত বেশকিছু কার্ড ভুলত্রুটি ও মৃতঃ ব্যক্তির নামে চাউল উত্তোলন কালে ২৪ টি কার্ড আটক করা হয়। এসময় কার্ডের ভুলত্রুটি ও মৃত ব্যক্তির কার্ডগুলো সংশোধন করতে উল্লেখিত কার্ডগুলো আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এমতবস্থায় দেশে করোনা ভাইরাস দূর্যোগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ডিলারের নিকট চাউল গুদামজাত হওয়ায় বর্তমানে কর্মহীন হয়ে পড়া উল্লেখিত নামধারী কার্ডের মধ্যে ৪ অসহায় কর্মহীন ব্যক্তি আমার কাছে কার্ডের সুপারিশ চাইলে আমি তাদের সুপারিশ করি।
ডিলার চাল বিতরনের সময় সেই মুহুর্তে কিছু সচেতন ব্যক্তি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির নিকট আমার বিরুদ্ধ নানা অভিযোগ করেন। এক ব্যক্তির কার্ডের চাউল অন্য ব্যক্তি তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
তাৎক্ষণিক চাউল বিতরন বন্ধের নির্দেশ দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর ২১/৪/২০২০ইং তারিখে সকাল ১১ টায় ডিলারসহ আমাকে এবং অভিযোগ কারীদের উপজেলায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।
আমি যথা সময়ে উপস্থিত থেকে চাউল উত্তোলনের সত্য ঘটনা অবহিত করি।
বিষয়টি শোনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ও খাদ্য অফিসার জানান, কোন অবস্থাতেই মৃত ব্যক্তির এবং এক ব্যক্তির কার্ডের চাউল অন্য ব্যক্তিকে দেওয়ার সুপারিশ করা যাবে না।
এমতাবস্থায় আমি আমার ভুল সিন্ধান্ত বুঝতে পেরে ক্ষমা প্রার্থী হই। পরবর্তীতে এধরণের ভুল হবে না মর্মে অঙ্গীকার করি। সামনে নির্বাচনে আমাকে হেয় করার জন্য বিষয়টি নিয়ে প্রতিপক্ষরা নানা ভাবে অপ্রচার চালাচ্ছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply