নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া: করোনা জয় করে বগুড়া থেকে বাড়ি ফিরলেন রংপুরে শাহ আলম (৫৫)। বগুড়ায় করোনা রোগী হিসেবে শাহ আলম প্রথম শনাক্ত হন। বগুড়ার মহাস্থানে রাস্তায় পড়ে থাকা শাহ আলমকে একজন সংবাদকর্মীর সহযোগিতায় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। টানা ২৬ দিন হাসপাতালে করোনার সঙ্গে লড়াই করে তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন।
শুক্রবার বগুড়ার করোনা আইসোলেশন ইউনিট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে শাহ আলম ও তার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. নূরুজ্জামান সঞ্চয় ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা(আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল।
গত ২৯ মার্চ ভোর রাতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ট্রাকের চালক-হেলপার করোনা রোগী সন্দেহে শাহ আলমকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে মহাস্থান এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে যায়। সকালে স্থানীয় লোকজন করোনা রোগী সন্দেহে তাকে ঘিরে রাখে। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ভ্যানগাড়িতে করে শাহ আলমকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজেটিভ ফলাফল এলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শাহ আলমই বগুড়ায় প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হন।
শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে উচ্ছাসিত হয়ে ওঠেন বৃদ্ধ শাহ আলম। বলেন, মৃত্যুর দুয়ার থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। চিকিৎসক ও নার্সরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে তাকে সুস্থ করেছেন। এজন্য তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন শাহ আলমকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আবারো দুইবার নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল নেগেটিভ হওয়ায় শুক্রবার দুপুরে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তিনি বলেন, শাহ আলম এখন পুরোপুরি করোনা মুক্ত।#
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply