হাসান মাহমুদ মিলু, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার মাহফুজুর রহমান পাখি চাল বিতরণে দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়্যতে আছেন। দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন থাকার পরও কার খুঁটির জোরে তার নামে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে চাল! প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
জানা যায়, গত ২৩ মার্চ উক্ত ডিলারের চরবর্ণি বাজারের চাল বিতরণ কেন্দ্রে একাধিক কার্ডধারীর নিকট অতিরিক্ত টাকা ও চাল পরিমাপে কম দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ওইদিনই কার্ডধারী ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা একটি কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠায়। ২৫ মার্চ নিজের অসুস্থতা দেখিয়ে নোটিশের জবাব দিলেও সেটি সন্তোষজনক নয় বলে জানান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. রেজাউল হক। বিষয়টি মাসাধিক কাল অতিবাহিত হলেও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই তার নামে এপ্রিল মাসের চাল বরাদ্দের অফিস আদেশ দেয় হয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত অগ্রাধিকার প্রকল্পের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে দুর্নীতি করেও ডিলার মাহফুজুর রহমান পাখি কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে। আসলে তার খুঁটির জোর কোথায়?
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. রেজাউল হক জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ততার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে। যেহেতু ডিলার মাহফুজুর রহমান পাখির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে এপ্রিল মাসের চাল তার নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ জানান, ডিলার মাহফুজুর রহমান পাখির কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক নয়। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তথ্য প্রমাণ তদন্ত কমিটির নিকট আছে। কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তাকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিযুক্ত ওই ডিলারের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে। আগামী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি কমিটির সভায় এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply