হাসান মাহমুদ মিলু, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাল্য বিয়ে পড়ানোর অপরাধে নিকাহ রেজিস্টার এবং বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের পিতাসহ চারজনকে ১লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন দর্জি তার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে কবিতাকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই গত ১৭ এপ্রিল গোপনে বিয়ে দেন। কবিতা স্থানীয় ছোলনা সালামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার ভাবুকদিয়া গ্রামের সেকেন্দার মোল্যার ছেলে মামুন মোল্যার সঙ্গে। ওই দিনই বিয়ের বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাব্বির আহমেদ জানতে পেরে বিয়ে বন্ধের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তার পূর্বেই বিয়ে সম্পন্ন করে বর-কনে চলে যায়। পরবর্তীতে বিয়ে রেজিস্টার ও কনের পিতাকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার কার্যালয়ে সাক্ষাতের জন্য বারবার খবর দিলেও তারা দেখা করেননি।
বুধবার (২৯.০৪.২০) সন্ধ্যায় স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে ধরে এনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাব্বির আহমেদ তাঁর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তাদের জরিমানা করেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ১১ ধারায় বিবাহ রেজিস্টার ও বোয়ালমারী পৌর জামায়ত ইসলামীর আমীর সৈয়দ নিয়ামুল হাসানকে ৫০ হাজার, ৯ ধারায় নিকাহ রেজিস্টারের সহকারী মো. আব্বাস হোসেনকে ২৫ হাজার, ৮ ধারায় কনের পিতা মো. জাকির হোসেন দর্জিকে ২৫ হাজার এবং একই ধারায় জাকিরের ভগ্নিপতি ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন দর্জিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply