শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিক্রেতাদের পাশে দাড়ানোর তাগিদে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ মে, ২০২০
  • ৩০৮ ভিউ টাইম
ওহাব,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর  প্রধান কাজ শিক্ষা প্রদান করা এবং শিক্ষার্থী হলো কার প্রাণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  জ্ঞানার্জন এর  প্রধান অবলম্বন হলেও   অনেকের বেঁচে থাকার অবলম্বনও বটে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেচা-কেনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ ও সংলগ্ন আশেপাশে গড়ে ওঠে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষুদ্র ও ভ্রাম্যমাণ  দোকানপাঠ এবং দোকানমালিকদের  প্রায় সকলেরই জীবনযাপন পুরোপুরি ভাবেই নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওপর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু থাকলে বিক্রেতাগন অর্থ উপার্জন করতে পারেন আর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকলে তাদের আয়ও বন্ধ থাকে।
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (বশেমুরবিপ্রবি) রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন ভ্রাম্যমান খাদ্যের দোকান । এছাড়া শিক্ষার্থীদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু চা ও খাবারের দোকানও। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রায় একমাসের বেশি সময় যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। প্রায় সকল শিক্ষার্থী নিজ বাসায় থাকায় এসকল খাদ্য বিক্রেতাদের দোকানগুলোতেও ঝুলছে তালা নেই আয়ও। ফলে কর্মহীন এসব বিক্রেতারা অর্থের অভাবে অনেকই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
 আর এসকল দিক বিবেচনা করেই তাদের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবির একদল শিক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়ুয়া হাসান মাহমুদ বলেন, “ক্যাম্পাসে ছোট দোকানগুলো দিয়ে সংসার চালানো ব্যক্তিরা, যাদের আমরা মামা বলে ডাকি, যারা আমাদের দেখলেই একটা হাসি দিয়ে কথা বলে তারা হয়তো এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়েই দিনপাত করছে। তাই আমরা চাচ্ছি এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে। কারণ তারাও আমাদের পরিবারের অংশ, তাদের বাদ দিয়ে আমরা ভালো থাকতে পারিনা।”
এই শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন প্রায় ১৫ জন খাদ্য বিক্রেতা রয়েছে। আপাতত তারা প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করেছেন। ইতোমধ্যে এই লক্ষ্যে তারা ফান্ড গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে   আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের আরেকজন  শিক্ষার্থী মুকসুমুল আরেফিন অভির সাথে কথা বললে তিনি জানান,”এ যাবৎ ২জন মামাকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। টাকা তোলার কাজ চলছে। আশানুরূপ আর্থিক সহযোগিতা পেলে সামনে আমরা আরো যতদুর পারি মামাদের সাহায্য করবো।”
ফুচকা-চটপটি বিক্রেতাদের সহযোগিতা ফান্ডে অর্থপ্রদানের ঠিকানাঃ
০১৭২৫৫৯১৮২৬(বিকাশ)
০১৫২১৪১০৮৪৩৬(রকেট)

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888