শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর প্রধান কাজ শিক্ষা প্রদান করা এবং শিক্ষার্থী হলো কার প্রাণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্ঞানার্জন এর প্রধান অবলম্বন হলেও অনেকের বেঁচে থাকার অবলম্বনও বটে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেচা-কেনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ ও সংলগ্ন আশেপাশে গড়ে ওঠে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষুদ্র ও ভ্রাম্যমাণ দোকানপাঠ এবং দোকানমালিকদের প্রায় সকলেরই জীবনযাপন পুরোপুরি ভাবেই নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওপর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু থাকলে বিক্রেতাগন অর্থ উপার্জন করতে পারেন আর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকলে তাদের আয়ও বন্ধ থাকে।
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (বশেমুরবিপ্রবি) রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন ভ্রাম্যমান খাদ্যের দোকান । এছাড়া শিক্ষার্থীদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু চা ও খাবারের দোকানও। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রায় একমাসের বেশি সময় যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। প্রায় সকল শিক্ষার্থী নিজ বাসায় থাকায় এসকল খাদ্য বিক্রেতাদের দোকানগুলোতেও ঝুলছে তালা নেই আয়ও। ফলে কর্মহীন এসব বিক্রেতারা অর্থের অভাবে অনেকই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আর এসকল দিক বিবেচনা করেই তাদের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবির একদল শিক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়ুয়া হাসান মাহমুদ বলেন, “ক্যাম্পাসে ছোট দোকানগুলো দিয়ে সংসার চালানো ব্যক্তিরা, যাদের আমরা মামা বলে ডাকি, যারা আমাদের দেখলেই একটা হাসি দিয়ে কথা বলে তারা হয়তো এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়েই দিনপাত করছে। তাই আমরা চাচ্ছি এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে। কারণ তারাও আমাদের পরিবারের অংশ, তাদের বাদ দিয়ে আমরা ভালো থাকতে পারিনা।”
এই শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন প্রায় ১৫ জন খাদ্য বিক্রেতা রয়েছে। আপাতত তারা প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করেছেন। ইতোমধ্যে এই লক্ষ্যে তারা ফান্ড গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের আরেকজন শিক্ষার্থী মুকসুমুল আরেফিন অভির সাথে কথা বললে তিনি জানান,”এ যাবৎ ২জন মামাকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। টাকা তোলার কাজ চলছে। আশানুরূপ আর্থিক সহযোগিতা পেলে সামনে আমরা আরো যতদুর পারি মামাদের সাহায্য করবো।”
ফুচকা-চটপটি বিক্রেতাদের সহযোগিতা ফান্ডে অর্থপ্রদানের ঠিকানাঃ
০১৭২৫৫৯১৮২৬(বিকাশ)
০১৫২১৪১০৮৪৩৬(রকেট)
Leave a Reply