কুমিল্লা মুরাদনগরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাণঘাতী এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কম বেশী সব জায়গায়ই নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ,
গত মাসের শুরুতেই কুমিল্লায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর ১০ এপ্রিল পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক।
তারপর থেকে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়।এরই মধ্যে মুরাদনগরের পার্শবর্তী উপজেলা দেবিদ্বারকে জেলার করোনার হটস্পট ঘোষণা করে। এ ঘোষণার পর থেকে দেবিদ্বারের প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও তার উল্টো চিত্র দেখা যায়, মুরাদনগর উপজেলায় লকডাউনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় গত কয়েকদিন মুরাদনগর সদর ও কোম্পানীগঞ্জ বাজারের সকল দোকান খোলা রেখে ব্যবসার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বাজারের দোকান খোলা রাখার কারণে রাস্তায়ও পরিবহন চলাচল হয়ে গেছে স্বাভাবিক। এমন চিত্র দেখে এখন আতঙ্কিত সচেতন মহলের লোকজন তারা বলছেন প্রশাসন যদি সাধারণ মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখতে পারে তাহলে আমাদের অবস্থাও সামনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। এরই ধারাবাহিকতায় চিন্তা করে মুরাদনগর বাজার ব্যবসায়ী পরামর্শ ক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও বাজার বণিক সমিতি ১১/০৫/২০২০ হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাজারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী আইনকে অমান্য করে সে ব্যবসায়ীকে মবিলকোটের মাধ্যমে অর্থাদন্ড ও জেল দেওয়ার ঘোষণা করেন।
পরিশেষে বাজার কমিটি বলেন মুদির দোকান সকাল থেকে দুপর ২ টা পর্যন্ত, কাঁচা, দুধ, মাছ বাজার সকাল ১০ পর্যন্ত খোলা থাকিবে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন,প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সময় লকডাউন কোন প্রকার শিথিল করা হয়নি।
পরিশেষে এই সভার সভাপতির নির্দেশক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply