বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ধুলপুকুরিয়া গ্রামের শ্রীবাস রায় লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ মে ঢাকার বি.আর.বি হাসপাতালে মারা যায়। এর দুই দিন পর তার স্ত্রী শিখা রায়ের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষায় পজেটিভ ধরা পড়ে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়কে নিয়ে কয়েকটি নামসর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা, ভীত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভূয়া প্রচারণা চালায়।
এ ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় ডা. দিলীপ রায় বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হীনরাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে নামসর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা, ভীত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মনগড়া প্রচারণা চালায়। বিবেক বর্জিত এসব মিথ্যা সংবাদে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছেন। সত্য না জেনে অনেকেই ক্ষোভ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কোন সুস্থ বিবেকবান ব্যক্তি কি জেনে শুনে তার পরিবার, ভাই-বোন, প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, তার মৃত্যুর পর হাসপাতালের ব্যয় মিটাতে ব্যর্থ হয়ে আমার নিকট আর্থিক সাহায্যের জন্য আসে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শ্রীবাস লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। চিকিৎসা ব্যয় মিটাতে আমি তাদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করি। শ্রীবাস যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করতো তাহলে সবার আগে সতর্কতা অবলম্বন করতাম আমি। কারণ শ্রীবাস আমার নিকটতম প্রতিবেশি আর ওই বাড়িতে আমার আপন বড় ভাই তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে।
তিনি আরও বলেন, কোন ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে মৃতদেহ তার জন্মভূমিতে নেয়া কি কোন অপরাধ? কোন অসহায় ব্যক্তি চিকিৎসা ব্যয় মিটাতে না পেরে সহায়তা প্রার্থনা করলে তাকে সহায়তা করা কি অপরাধ?
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply