মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,নির্যাতনের কথা প্রকাশ না করতে পবিত্র কোরআন শরীফের ওপর হাত রেখে স্ত্রীকে শপথ করানোর অভিযোগ উঠেছে এক পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নির্যাতনকারীরা হলেন- পূর্ব নারগুন ছেফারপাড়া (কাজি পাড়া) গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন (২৬), স্ত্রী-বানু আক্তার (৫০) ও ছোট ছেলে সোহাবান হোসেন (২৩)। নির্যাতিত ঐ নারীর বাবা অভিযোগ করে বলেন- বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মারধর করে বাড়ি থেকে বেড় করিয়ে দেয়। এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসির সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। আমার মেয়ে ৫ মাসের অন্তসত্বা। আমি একজন গরিব অসহায় মানুষ। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু যৌতুক লোভীদের লালসা দিন দিন বাড়তে থাকে।
নির্যাতিত ঐ নারী বলেন- আমার শাশুড়ি আমাকে জবাই করার জন্য গলায় বটি লাগিয়ে দেয়। আমার বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক রাখলে বাপের বাসায় চলে যেতে বলে। স্বামীর সাথে থাকতে দেয় না। অন্য মানুষের সাথে থেকে টাকা রোজগারের কথা বলে। আমি ৫ মাসের অন্তসত্বা। আমার স্বামী পেটের মধ্যে লাথি মারে। পেটের বাচ্চাকে মেরে ফেলার কথা বলে। দরজা লাগিয়ে গলায় উড়না পেচিয়ে মরতে বলে। ভালো মন্দ খেতে দেয় না। একটু কাজ না করলে বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে গালি দেয়। বাবার কাছ থেকে মোটরসাইকেল, টাকা-পয়সা আনার কথা বলেন। রাতের বেলা ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। টয়লেট করতে পর্যন্ত বাইরে যেতে দেয় না। কথাগুলো না বলতে বার বার কোরআন শরীফের ওপর হাত রেখে শপথ করায়। এলাকাবাসি সালমা, রিনা ও মামুন বলেন- রাত হলেই নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। তাদের বাসার মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস উদ্দীন বলেন মানসিক নির্যাতনের ঘটনাটি সত্য। গৃহবধুর শাশুড়ি বানু আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- তার বাড়ির লোকজন এসে আমাদেরকে অপমান করেছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা হয়েছিল। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি গোলাম মর্তুজা (তদন্ত) বলেন- লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply