বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জিপিএ ৫ পাওয়া অদম্য সাদিয়ার পাশে দাড়ালেন ছাত্রলীগ নেতা জাফর বাড়ি ফেরা হলো না আর  আরব আলীর ময়মনসিংহ বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন শেরপুর ৩ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডি এম শহিদুল   দুপচাঁচিয়ায় তিন মা’দক সেবী সহ গ্রে ফতার ছয় মায়া ঝড়া বক্তব্যে  মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এডিএম শহিদুল ইসলাম ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবৈধ নিয়োগে  বাধা দিলে বাদীকে ছুরিআঘাত করল বিবাদী  চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি উদ্বোধন দুপচাঁচিয়ায় উপ-সচিব ইলিয়াস মেহেদীর সাথে মতবিনিময় চিলমারী নদীবন্দরে ফেরি কুঞ্জলতা ফেরি উদ্বোধনের অপেক্ষায় দুপারের মানুষ নব যোগদানকারী ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার শেরপুর ঝিনাইগাতীতে বিভিন্ন  সংগঠনের সাথে মতবিনিময় করেন 

ঠাকুরগাঁয়ে মিনু আক্তারের রহস্য জনক মৃত্যু-বাবার দাবি পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়ে কে হত্যা করা হয়েছে

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৩ মে, ২০২০
  • ৩৫৩ ভিউ টাইম
মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,ঠাকুরগাঁও জেলায় মোছা: মিনু আক্তার(২২) নামের এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। ২১ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রায়পুর ইউনয়নের দেহন সরকার পাড়া গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিনু আক্তার হামিদুর রহমানের স্ত্রী ও মো: মোজাম্মেল হকের মেয়ে।  নিহতের বাবা মোজাম্মেল হকের দাবি তার মেয়ে মিনু আক্তার কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বাবা মো: মোজাম্মেল হক বলেন,  উক্ত ইউনিয়নের দেহন সরকার পাড়া গ্রামের মো: হালিম উদ্দীনের ছেলে মো: হামিদুর রহমানের সাথে প্রায় তিন বছর আগে প্রস্তাবের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় নিহত ‍মিনু আক্তারের। সাংসার জীবনে তাদের ঘর আলোকিত করে আসে একটি সন্তান। খুব সুখের সংসার ছিলো তাদের। কিন্তু স্বামী হামিদুর রহমান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে জেলার বাইরে থাকায় মিনু তার স্বামীর বাড়িতে থাকতো। সে সময় স্বামী বাড়িতে না থাকায় পরিবারের বাকী সদস্যদের কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতো ও অপমানিত হতো নিহত মিনু। তবুও সে স্বামী সন্তানের মায়া ত্যাগ না করে শত নির্যাতন  অপমান সহ্য করে  সংসার করে আসছিলো। তিনি আরও বলেন ঘটনা সময়  ২১ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টা ৫৫ মিনিটে একটি অজ্ঞাত মোবাইল নাম্বার থেকে আমার কাছে কল আসে। আমাকে বলা হয় আমার মেয়ে  নাকি ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে আছে খুঁলছেনা, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ খবর পেয়ে আমি গ্রামের কয়েকজন লোক নিয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে মৃত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। দরজা জানালা খোলা ছিলো। সে সময় আমি গলায় ফাঁস লাগানোর কোন আলামত পাইনি। এ ঘটনায় নিহত মিনু আক্তারের পরিবারের উপর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মেয়ে হারানোরে শোকে পাথর হয়ে যাওয়া বাবা মোজাম্মেল হক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি করেন। নিহত মিনু আক্তার স্বামী মো: হামিদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর আত্মহত্যার কারন আমি বুঝতে পারছিনা। কারন আমার সাথে আমার স্ত্রীর অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো। এ সময় তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকায়  আর বেশি কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: তানভিরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888