নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বগুড়ার সদর উপজেলার গোকুলে ওএমএস এর পরিত্যক্ত ৩৩ বস্তা চাল নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
দেশব্যাপী করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় রোজগারহীন হতদরিদ্র পরিবারদের মাঝে খাদ্য বান্ধব সরকারের বরাদ্দকৃত ১০টাকা কেজি দরে বিক্রির ৩৩ বস্তা চাল রাতের আধারে পুলিশ উদ্ধার করা নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার (৫জুন) সন্ধ্যায় বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল বন্দর সংলগ্ন মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সমিতির পরিত্যক্ত একটি খোলা কক্ষে চালগুলো দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বগুড়া সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বগুড়া সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) জহুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালগুলো তাদের হেফাজতে নেয়। এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে বেশকিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সমিতির অকেজো পরিত্যক্ত একটি দরজাবিহীন ঘরে ঘোরা ফেরা করছিল।
এবিষয়ে গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পাশে অবস্থিত বহুকালের সমিতির পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৩৩ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরও জানান, দেশের দূর্যোগ মুহূর্তে জনগণের হক নষ্ট করে যারা এই কাজ করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
উদ্ধার হওয়া চালগুলো অবশ্যই কালোবাজারের চাল। তদন্ত করে চালের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে ডিলার বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সরকার সাইফুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, যে পরিত্যাক্ত ঘর থেকে সরকারী চালগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ সে ঘরটি আমার নয়, আমার ডিলার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর গোডাউন ঘরে।
গত (২৭মে) ওএমএস কার্যক্রমের কার্ডধারীদের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ শেষ করা হয়েছে। কিন্তু চালগুলো এখানে কে বা কাহারা উদ্দেশ্য প্রোনোদিত ভাবে রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমার এত দিনের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রতি পক্ষরা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
আমি প্রশাসনের সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply