সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও সচিবগণের ৩দিন ব্যাপী “মৌলিক প্রশিক্ষণ “কোর্সে শেষ ঝিনাইগাতী উপজেলার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া শহর শাখার ১৫ নং ওয়ার্ডে সদস্য সংগ্রহ ও বিশেষ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত! জনপ্রিয় প্রার্থী মোঃ আব্দুল মোমিন প্রতীক লাটিম মার্কা শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগে সন্মান জনক পদ না দেওয়াই ভাইস চেয়ারম্যান ফাইমা আক্তারের সংবাদ সন্মেলন বগুড়ার নামুজা থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মহারশি নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম বগুড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা রবিনসহ গ্রেফতার- ৫ দুপচাঁচিয়ায় পৃথক দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুইজন গ্রেফতার বগুড়া সোনাতলা থানায় আন্তঃজেলা অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার, আলামত উদ্ধার বগুড়া নিশিন্দারা কারবালা মাদ্রাসায় দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে অপর এক শিক্ষার্থী

তিন মাস পরও বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, কমার লক্ষণ নেই

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০
  • ২৬৬ ভিউ টাইম

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হবার তিন মাস পুরো হয়েছে ৮ই জুন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৮ হাজার ৫০৪ জন, মারা গেছেন ৯৩০ জনে।

সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, সংক্রমণ বাড়ার এই ধারা লম্বা সময় ধরে চলতে পারে, তবে তাদের মতে সংক্রমণ এখনো লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যাপক সংখ্যায় বাড়ছে না। একই সাথে কবে থেকে তা কমতে শুরু করবে তা এখনো তারা বলতে পারছেন না।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম মাসে অর্থাৎ মার্চ মাসে রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২১৮ জন। পরের মাসে শনাক্ত হয় প্রায় ১৩ হাজার রোগী। কিন্তু তৃতীয় মাসে এসে এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এখন দেশে সংক্রমণের হার এবং মৃত্যু- দু’টোই বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা।

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সরকারের একটি কমিটির প্রধান অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ঢিলেঢালা লকডাউন, ঈদকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ মানুষের গ্রামে যাওয়া এবং শহরে ফিরে আসা, এসবের প্রভাবে সংক্রমণ এখন বেড়ে চলেছে বলে তিনি মনে করেন।

“মে মাসে দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে গেছে। এর কারণ হলো, জনগণের বিশাল একটা অংশ লকডাউন মানে নাই।

“আবার ঈদ আসলো, তখন লক্ষ লক্ষ মানুষ গ্রামে গেলো। গ্রামে কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ ছিল না। মানুষ গ্রামে গিয়ে তা ছড়ালো। আবার এই লোকগুলো শহরে ফেরত এলেন। এর ফলে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কিন্তু বেড়ে গেছে। আমরা এখন পিক লেভেলে আছি বলে মনে হচ্ছে,” তিনি বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রথম সংক্রমণের দেশ চীনে তিন মাসের মধ্যেই সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়াতেও নীচের দিকে নামতে শুরু করেছিল সংক্রমণের হার।

কিন্তু তিন মাস পর বাংলাদেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মুনশি বলেছেন, এখন সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা বলা কঠিন।

“এই তিন মাসে এখন যদি আমরা ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের চিত্র দেখি, এই তিনটি দেশেই কিন্তু সংক্রমণ ঊর্ধ্বমূখী। কিন্তু অন্যান্য দেশগুলো যেমন ইউরোপে কিন্তু এখন সংক্রমণের মাত্রা নীচের দিকে চলে এসেছে।এবং সেখানে তা তিন মাসের মধ্যেই সম্ভব হয়েছে।কিন্তু আমাদের সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বমূখী। এই অবস্থাটা কিন্তু অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে বিপরীত,” তিনি বলেন।

তিনি আরও বলেছেন, “এ কথা বলা যায় যে, যতদিন পর্যন্ত আমাদের একটা বড় জনগোষ্ঠী আক্রান্ত না হবে অথবা টিকা না আসবে, ততদিন পর্যন্ত এই সংক্রমণ আমাদের দেশে থাকবে।”

বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত সরকারের কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো এবং সরকারি- বেসরকারি সব হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার তাদের পরামর্শ সরকার গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু লকডাউন কঠোর করাসহ জনস্বাস্থ্যমূলক তাদের পরামর্শকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

“সংক্রমণের হার বাড়বে , সেটা ঠেকানোর জন্য স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কিত আমাদের পরামর্শ মানা হয়নি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি এখনও যদি না মানি, তাহলে সংক্রমণের হার আরও অনেক বাড়বে,” তিনি বলেন।

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না
কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন প্রতিদিনই আড়াই হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এটা অন্যান্য দেশের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বা এক সাথে ব্যাপক সংখ্যক বাড়ছে না বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু সংক্রমণ যে ঊর্ধ্বমূখী থাকছে, কবে সংক্রমণ কমা শুরু হতে পারে-সে সম্পর্কে কর্মকর্তারা কোন ধারণা করতে পারছেন না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেছেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্যই আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর থেকে সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন পৃথিবীতে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত আসলে এটা কোন দিকে মোড় নেবে, তা বলা কঠিন।”

এদিকে সরকারের একাধিক নীতি নির্ধারক বলেছেন, তারাও মনে করেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে। তবে তারা দাবি করেছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তারা পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন। বিবিসি

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888