মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,সরকারের পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করা সত্বেও ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ১০ টাকা দরে ওএমএসের চালের দোকানে কোন ভাবেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলবার (৯ জুন) পৌরশহরের শান্তিনগর মহল্লায় জাগরণী ক্লাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওএমএসের চাল বিতরণে এই পরিস্থিতি লক্ষ করা যায়। ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায় সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল বিক্রয়ের দোকান গুলো সীমিত জায়গায় না রেখে খোলা মাঠে নিয়ে বিক্রী করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
শান্তিনগর মহল্লার সুধীর রায় বলেন জেলায় দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর যে ভাবে ওএমএসের চাল বিক্রী করা হচ্ছে এতে করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে প্রয়োজনিয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে করোনা ভাইরাস আরও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে। একই অভিযোগ করেন আইয়ুব আলী, আইনুল হকসহ অনেকে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হামিদুল্লাহ আল মামুন বলেন সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চাল বিক্রী করার কথা। যদি না মানা হয় তাহলে ডিলারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছিল বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ওএমএসের ডিলার মো: জমিরুল ইসলাম বলেন পুলিশ আছে, ট্যাক অফিসার আছে তার পরেও যদি কেউ না মানে আমি কি করবো। আমার করারই বা কি আছে। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যারা দায়িত্বে আছেন তারা যদি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করেন, তাহালে শুধু প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন বলেন , সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে ওএমএসের চাল বিক্রয়ের দোকান গুলো সীমিত জায়গায় না রেখে খোলা মাঠে নিয়ে বিক্রী করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান এই কর্মকর্তা।
এই ক্যাটাগরী আরো খবর...
Leave a Reply