মাসুদ রানা (মেহেরপুর প্রতিনিধি) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারের পরিচ্ছন্ন কর্মীর হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। জমি বিক্রির টাকা লুট ও পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী সাংবাদিকদের জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এমএস মুরাদ আলী জানান গত ২৮ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বামন্দী শহরের ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মী সুন্দরী বেগম (৪৫)-এর গলিত লাশ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা পর পাশের কক্ষ থেকে তার স্বামী রুস্তম আলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তারা দীর্ঘ বছর বামন্দী শহরে বসবাস করে আসছিল। রুস্তম আলীর স্থায়ী বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকায়। এদিকে স্বামী রুস্তম আলীকে উদ্ধার সময় সে অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। ওই দিনই সুন্দরী বেগমের লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তার জানাজা শেষে বামন্দী গোরস্থান ময়দানে দাফন সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনায় গাংনী থানায় অজ্ঞাত নামাদের নামে একটি হত্যা মামলা হয়। এর পর থেকে হত্যার রহস্য উদঘাটনে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের একাধিকদল মাঠে নামে। এবং জামিরুল ইসলাম নামের একজনকে কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকা থেকে আটক করে। আটক জামিরুল ইসলামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকায়। জামিরুল রুস্তম আলীর ভাতিজা। জামিরুলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সুন্দরী হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। সুন্দরী বেগমের লাশ ও তার স্বামী রুস্তম আলীকে উদ্ধারের ২দিন আগে বামন্দী শহরের ভাড়া বাড়িতে জামিরুল ও তার এক সহযোগী মিলে শাড়ি পেঁচিয়ে সুন্দরীকে শ্বাসরোধে হত্যা ও স্বামী রুস্তম আলীকে আহত করে পালিয়ে যায়। সুন্দরী বেগমের নামে একটি জমি ছিল পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তির কাছে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করবে বলে কথা হয়েছিল, পরে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম বাবদ নিয়েছিল সুন্দরী বেগম ঐ টাকা নেয়ার জন্য এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply