স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজী বাল্য বিবাহ রেজিষ্টারের শীর্ষে, অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক কাবিন রেজিঃ বই আটক, এলাকাবাসী কর্তৃক তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থ্যা গ্রহণের দাবী।
সরে জমিনে ও এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী আমিনুল ইসলাম দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সরকারী নির্দেশ অমান্য করে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের বিবাহ রেজিঃ করে আসছে, শুধু তাই নয়, তার কাজ সহজ করার জন্য ঘোড়াধাপ এলাকার আঃ সালাম, দাড়িয়াল এলাকার তোজাম্মেল সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে তার রেজিঃ বই এর কপি সরবরাহ করে এবং তারাও ঐ ধরনের কাজের সাথে জড়িয়ে থাকে। কাজী আমিনুল বাহিরে বাল্য বিবাহ রেজিঃ করেই ক্ষান্ত হয় না। এর পূর্বেও তার নিজের মেয়ে ৮ ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় বাল্য বিবাহ দেয় যার বয়স এখনও ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। এর পর তার ছোট মেয়েকে করেনা মহামারীর মধ্যেও গত ৮/৬/২০২০ ইং তারিখে ৯ ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বিবাহ দেয়। এ ব্যাপারে কাজী আমিনুলের সাথে কথা বললে সে জানায় আমার মেয়েকে কখন বিবাহ দিব না দিব তা জেনে সাংবাদিকদের লাভ কি? বড় মেয়ে আখি খাতুনকে বিবাহ দেয় আশোকোলা মধ্যপাড়া গ্রামের আজিমদ্দিনের পুত্র রাকিব হোসেনের সাথে, ছোট মেয়ে আকলিমা আক্তার রিমাকে বিবাহ দেয় সদরের শাখারিয়ার জঙ্গল পাড়া গ্রামের আজিজুলের পুত্র রিমনের সাথে। ছোট মেযেকে বিবাহ দেওয়ার কথা অস্বীকার করে সে বলে ছেলে মেযেকে আংটি পড়ে রাখা হয়েছে। সে আরও জানায় আমার বই ইউএনও নিযে গেছে তা যা হবে তা হবে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কধা বললে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে অনেক অনিযমের কথা শুনেছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নুনগোলা ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুদ্দিন জানান, আমার সময় কালে এ ইউনিয়নে কোন বাল্য বিবাহ দিতে দিবনা বা কোন অনিয়ম সহ্য করা হবেনা। এলাকাবাসী জানান, দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ ধরনের কাজ সে করতেই থাকবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply