বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

পাশে দাঁড়াল শেরপুর থানা পুলিশ করোনা সন্দেহে বৃষ্টির মাঝেই ঘরে ঢুকতে দিলেন না স্ত্রী

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০
  • ৩৬৭ ভিউ টাইম

স্টাফ রিপোর্টার :  শেরপুর বগুড়া থেকে : রংপুইরা তুমি ঘর থেকে বাহির হয়ে যাও। তোমার অসুখ ভাল হলে তারপর আস। এ কথা বলে ঘর থেকে বাহির করে দেয় মানিকগঞ্জে দিনমজুরের কাজ করা বেলালকে। গত ১৫ জুন মানিকগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার ১ দিন পর থেকে তার জ্বর শুরু হয়। বুধবার বিকেল ৫টায় বৃষ্টির মাঝেই তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। নিজ ঘরে জায়গা না পেয়ে প্রতিবেশিদের বাড়ির ত্রি-সীমায় যেতে না দেওয়ায় অবিরাম বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের সিমলা সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৬৫)। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বিষয়টি ইউএনও লিয়াকত আলী সেখ ও শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীরকে অবগত করলে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তাৎক্ষনিক ডিউটিরত এসআই মোস্তাফিজুর রহমানকে পাঠান। ঘটনাস্থলে পৌছে বৃষ্টি ভেজা অবস্থায় বেলালকে মাথায় পলেথিন দিয়ে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে। এবং শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

বেলালের স্ত্রী আনোয়ারা জানান, করোনা হয়েছে বলে এলাকার মানুষ অনেকে অনেক কথা বলবে। তাই এ কাজ করছি। বেলাল জানান, আমার জ্বর হওয়ায় আমার স্ত্রী বৃষ্টির মাঝে ঘর থেকে বাহির করে দিয়ে ঘর তালা দেয়। আমি প্রতিবেশির বাড়ি বারান্দায় গেলে তাড়াও আমাকে তারিয়ে দেয়। তখন আমি ভাবছি এই বৃষ্টিতে ভিজেই আমাকে মরতে হবে। হঠাৎ করে পুলিশের পোশাক পড়া পুলিশ তো নয় এ যেন একজন সুপারম্যান এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে এই অহভাগা মানুষটির তুলে এনে হাসপাতালে ভর্তি করাল।

বিশালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, আমি যখন জানতে পারলাম তখন চিন্তা করলাম গ্রামের মানুষ এখন করোনা নিয়ে চিন্তায় আছে তাই আইনের মাধ্যমে কিছু একটা সমাধান করি তাই ইএনও এবং ওসি সাহেবকে জানালাম।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর জানান, চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। আমি এটা আমার দায়িত্ব মনে করে কাজ করছি। এমন অমানবিক কাজ আমার বিবেককে হার মানায়। এই করোনার মাঝেও কিছুদিন আগে এমন একটি ঘটনা রাত্রিতে একজন মহিলার সন্তান প্রসবের ব্যাথায় রাস্তায় কোন গাড়ি পাচ্ছিলনা। তখন পুলিশের গাড়িতে করে হাসপাতালে পৌছে দেওয়া হয়েছে। পুুলিশ এখন জনগনের বন্ধু এই করোনায় তার বাস্তব প্রমান।

এ বিষয়ে ইউএনও লিয়াকত আলী জানান, বিষয়টি জানতে পেরে আমি ও ওসি তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888