বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রাম গঞ্জে বাজারে করোনা ভাইরাস সচেতনতায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ জরুরি ।

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০
  • ৩৫৯ ভিউ টাইম

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,করোনার থাবায় থমকে আছে গোটা বিশ্ব। অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর মিছিলে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রাণ। শহর থেকে গ্রাম-সব স্থানেই মানুষের অসতর্কতায় প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অসতর্কভাবে চলছে গ্রামের বাজারের কার্যক্রম।বিশ্বের দেশের প্রায় ১৮৮ টি দেশে ছড়িয়ে গেছে এ মহামারি। এ থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও কিন্তু সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সনাক্তের সংখ্যা। লক্ষ্যণীয় একটি বিষয় হলো, দিন দিন সংক্রামণের হার বাড়লেও ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রাম অঞ্চলের হাট বাজার গুলোতে সচেতনার মনোভাব কমে যাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী,এ জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ২০২ জন,সুস্থ ১১৭ এবং মৃত্যুবরণ করেছে ২ জন।সরকার সারাদেশের মত ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪ টার পর দোকান পাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলেও সচেতনতার অভাবে গ্রাম গন্জের বাজার গুলো বিকাল হতে চলে গভীর রাত পর্যন্ত ফলে লোকজনের অবাদ বিরচন নিয়ন্ত্রনে আসচ্ছে না । যেহেতু এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসটির নিদিষ্ট কোন ঔষধ বা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করা যায় নি সেহেতু সচেতনাই এ থেকে মুক্তির মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, গ্রাম- গঞ্জের প্রায় ৮০ শতাংশ লোকজন অসচেতন। নিত্যনিয়মিত শহরে যাওয়া-আসা, এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে চলাফেরা, রাস্তাঘাট ও হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং টং দোকানের চা-সিগারেটের আড্ডায় তাদের অবাদ বিচরণ কিন্তু তাদের মুখে নেই কোন মাস্ক, মানছেন না প্রয়োজনীয় বিধি-নিষেধ । ফলে আক্রান্তের সংখ্যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকের করোনার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ – জ্বর, সর্দি, গলা ব্যাথা থাকলেও হোম কোয়ারান্টাইনে তো দূরে থাক তারা স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত, দলগত এবং সরকারি প্রচার-প্রচারণায় গ্রাম-গঞ্জে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, সচেতনার ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার এবং সাবান-পানি দিয়ে বেশি বেশি হাত ধোয়ার তাগিদ দিয়ে আসলেও জনসাধারণের বিন্দু পরিমাণ টনক নড়ছে না। গ্রাম-গঞ্জে জনসাধারণের এমন অবাদ বিচরণ ও অসচেতনা থাকায় শঙ্কা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে ।যেহেতু ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রামাঞ্চলে খুব বেশি করোনা প্রভাব এখনো বিস্তার হয় নি । সেহেতু এখনই সঠিক সময় এই বৃহৎ অংশের জনগোষ্ঠী কে সুস্থ ও নিরাপদ রাখার । অন্যথায় ঠাকুরগাঁও জেলার প্রতিটি গ্রামবাংলায় ভাইরাসটির মহামারীতে রূপ নিতে দীর্ঘ সময় নিবে না। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা উচিত। অতএব, আমি সবিনয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি, অতি দ্রুত যেন ঠাকুরগাঁও জেলার প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জের বাজার গুলোতে সচেতনতায় সরকারি হস্তক্ষেপ এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এছাড়াও পাশাপাশি প্রতিটি এলাকার শিক্ষিত ও সচেতন যুবসমাজ কে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাই।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888