বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

বাবুই পাখির বাসা হারিয়ে যাওয়ার পথে

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৫৩ ভিউ টাইম
  মোঃ মজিবর রহমান শেখ  ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,
,দেশের নানাবিধ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রয়েছে  । তেমনি ঠাকুরগাঁও  জেলার  বালিয়াডাঙ্গী,পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর, নেকমরদ, গড়েয়া, ঠাকুরগাঁও সদর, । কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তালের পাতায় ও নারিকেলের পাতায় মোড়ানো নিপুণ কারুকার্য খচিত বাবুই পাখির বাসা। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাবুই পাখির বাসা প্রায় বিলীন হতে চলেছে। ঘন বসতি বাড়ায় এবং অপরিকল্পিতভাবে গাছ পালা কেটে ফেলা বিশেষ করে তাল গাছ কাটার ফলে কমে আসছে বাবুই পাখির বসবাস। এতে বিপন্ন হচ্ছে এই শিল্পি পাখি বাবুই। আজ থেকে প্রায় ২০-২২ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জের মাঠ-ঘাটের তাল গাছে দেখা যেত এদের বাসা। বাবুই পাখির বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই নয়, মানুষকে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করতো। তাইতো ছোট্ট বেলায় মুখস্থ পড়া সেই কবিতাটি কবি রজনী কান্ত সেনের ভাষায়, বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি-ঝড়ে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা সহ প্রায় সবগুলো ইউনিয়নে এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না বাবুই পাখি ও তার তৈরি দৃষ্টিনন্দন ছোট্ট বাসা তৈরির নৈসর্গিক দৃশ্য। বাবুই পাখির নিখুঁত বুননে এ বাসা টেনেও ছেঁড়া কষ্টকর। প্রতিটি তালগাছে ৪০ থেকে ৯০টি বাসা তৈরি করতে সময় লাগে ১০-১২ দিন।খড়, কুটা, তালপাতা, ঝাউ ও কাশবন ও লতা-পাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধে। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়,তেমনি অনেক মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ভেঙে পড়ে না। পুরুষ বাবুই পাখি বাসা তৈরির পর সঙ্গী খুঁজতে যায় অন্য বাসায়। সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সাথী বানানোর জন্য পুরুষ বাবুই নিজেকে আকর্ষণীয় করতে খাল, বিল ও ডোবার পানিতে গোসল করে গাছের ডালে ডালে নেচে বেড়ায়।চমৎকার বাসা বুনে বাস করায় এ পাখির পরিচিতি বিশ্বজোড়া। বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করতে জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে ছেড়ে দেয়। প্রজনন সময় ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির গায়ে পিঠে তামাটে কালো বর্ণের দাগ হয়। নিচের দিকে কোন দাগ থাকে না। ঠোঁট পুরো মোসাকার ও লেজ চৌকা। তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রং হয় গাঢ় বাদামি। অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির পিঠের পালকের মতই বাদামি হয়। ৮ নং  বড়বাড়ি  ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামের অনেকে বলেন, আমাদের গ্রামে ছোটবেলায় দেখতাম রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা তাল গাছগুলোর মধ্যে অনেক বাবুই পাখির বাসা ছিলো। কিন্তু এখন বাবুই পাখির বাসা আর দেখা যায় না। বাবুই পাখির বাসাটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। বিভিন্ন এলাকাজুড়ে বাবুইপাখি তালগাছে বাসা বাঁধতো কিন্তু এখন আর কোথাও এই বাবুই পাখির বাসা দেখা যায় না বললেই চলে ।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888